কলকাতা, 3 অক্টোবর: উৎসবের মরশুমেও বাংলায় অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা ৷ অষ্টমীর সন্ধেয় শহরের খাসতালুক রাসবিহারী অ্যাভিনিউ থেকে গ্রেফতার 9 সিপিএম নেতা ৷ ঘটনার সূত্রপাত, সপ্তমীর সন্ধেয়। সিপিএমের অভিযোগ, গতকাল রাসবিহারীর প্রতাপাদিত্য রোডে তাদের একটি বই বিপণী রাতের অন্ধকারে এসে ভেঙে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারই প্রতিবাদে এদিন রাসবিহারীতে পুলিশি বাধার মুখে সিপিএম নেতৃত্ব । যে দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, সিপিএমের কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, বাম মনোভাবাপন্ন চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। পুলিশি হেনস্থা করা হয় বিকাশবাবুকে। গ্রেফতার হন কল্লোল মজুমদার এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (CPIM Leaders Arrested)।
সোমবার এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এমনিতেই উৎসবের এই দিনগুলোতে রাসবিহারী এবং তদসংলগ্ন এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। এই অবস্থায় কোনও ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএম নেতাদের। সিপিএমের অভিযোগ, রাসবিহারীর বই বিপণীতে 'চোর ধরো, জেলে ভরো'-র পোস্টার দেখেই শাসকদলের রোষের শিকার হয়েছেন তাঁরা। আর এদিন পুলিশও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপ করল। গ্রেফতার হলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মত গণ্যমান্যরা।
আরও পড়ুন: পুজোয় কুঠুরিবন্দি পার্থ, হতাশা বাড়ছে প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিবের
প্রসঙ্গত, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও প্রতাপাদিত্য রোডের সংযোগস্থলে অষ্টমীর সন্ধেয় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, রবীন দেব, সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখরা। প্রতিবাদ সভা এবং বুক স্টল পুনরায় চালু করার দাবি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ক্রমেই উত্তাপ বাড়ে। ফলশ্রুতি হিসেবে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় 9 সিপিএম নেতাকে ।