ETV Bharat / state

রেশন বণ্টনে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে চিঠি কংগ্রেস সাংসদের

author img

By

Published : Apr 19, 2020, 6:39 PM IST

রাজ্যে রেশন ব্যবস্থায় যে অনিয়ম তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি পাঠালেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ৷

প্রদীপ ভট্টাচার্য
প্রদীপ ভট্টাচার্য

কলকাতা, 19 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কতটা আন্তরিক সে বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য সভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য । রাজ্যে দরিদ্র মানুষকে রেশন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত দলবাজি করছে শাসক দল । এই অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি । রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজভবনে চিঠি পাঠান তিনি ৷ বলেন, কোরোনা সংক্রমণে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । সমগ্র রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । বিশেষ করে কলকাতার অবস্থা ভয়াবহ । সমগ্র বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রাজ্য সরকার । কোরোনা সংক্রমণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তো দায়ি নন, তাহলে কেন তিনি তথ্য গোপন করছেন জানতে চান প্রদীপ ভট্টাচার্য ।

মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি । তাঁর দাবি অনুযায়ী, এখন এই রাজ্যে কোরোনা ভাইরাস চিহ্নিতকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিট এসেছে । তাহলে কেন কোরোনা ভাইরাস চিহ্নিত করার জন্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়নি রাজ্যবাসীর? মধ্য কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় কোরোনা ভাইরাস মহামারীর মত সংক্রমিত হয়েছে । অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে । রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ তাঁর ।

রাজ্যপালের কাছে স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে । এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোরোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না । মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া জানা সম্ভব নয় । কোরোনা ভাইরাস উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছে কেরালা । কারণ, তারা অবিরাম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতিতে বিশ্বাস করত । কেরালা সরকার সক্রিয় ছিল রাজ্যের মানুষের শরীরে এই ভাইরাস রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য । এ রাজ্যের মানুষের এখনও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে একাধিকবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানোর পরও র‍্যানডম টেস্টিংয়ের বিষয়টি নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার ।

প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন পৌঁছে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে । রাজ্য সরকার কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এবং রাজ্যের মানুষকে পর্যাপ্ত খাদ্য বণ্টন বিলি করবে বলে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে । অথচ বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না । হুগলির ফুরফুরা শরিফের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রসারিত হয়েছে । রাজ্যজুড়ে গণ বণ্টন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে । বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকারের পরিচালনা করা উচিত । না হলে এই কঠিন সময়ে রাজ্যের মানুষ আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে ।"

কলকাতা, 19 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কতটা আন্তরিক সে বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য সভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য । রাজ্যে দরিদ্র মানুষকে রেশন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত দলবাজি করছে শাসক দল । এই অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি । রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজভবনে চিঠি পাঠান তিনি ৷ বলেন, কোরোনা সংক্রমণে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । সমগ্র রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । বিশেষ করে কলকাতার অবস্থা ভয়াবহ । সমগ্র বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রাজ্য সরকার । কোরোনা সংক্রমণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তো দায়ি নন, তাহলে কেন তিনি তথ্য গোপন করছেন জানতে চান প্রদীপ ভট্টাচার্য ।

মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি । তাঁর দাবি অনুযায়ী, এখন এই রাজ্যে কোরোনা ভাইরাস চিহ্নিতকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিট এসেছে । তাহলে কেন কোরোনা ভাইরাস চিহ্নিত করার জন্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়নি রাজ্যবাসীর? মধ্য কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় কোরোনা ভাইরাস মহামারীর মত সংক্রমিত হয়েছে । অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে । রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ তাঁর ।

রাজ্যপালের কাছে স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে । এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোরোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না । মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া জানা সম্ভব নয় । কোরোনা ভাইরাস উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছে কেরালা । কারণ, তারা অবিরাম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতিতে বিশ্বাস করত । কেরালা সরকার সক্রিয় ছিল রাজ্যের মানুষের শরীরে এই ভাইরাস রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য । এ রাজ্যের মানুষের এখনও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে একাধিকবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানোর পরও র‍্যানডম টেস্টিংয়ের বিষয়টি নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার ।

প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন পৌঁছে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে । রাজ্য সরকার কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এবং রাজ্যের মানুষকে পর্যাপ্ত খাদ্য বণ্টন বিলি করবে বলে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে । অথচ বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না । হুগলির ফুরফুরা শরিফের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রসারিত হয়েছে । রাজ্যজুড়ে গণ বণ্টন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে । বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকারের পরিচালনা করা উচিত । না হলে এই কঠিন সময়ে রাজ্যের মানুষ আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.