আলিপুরদুয়ার, 26 ডিসেম্বর: কখনও তুলে নিচ্ছিল ছাগল, কখনও আবার কুকুর মেরে ফেলছিল। সেই চিতাবাঘের আতঙ্কে রীতিমতো ঘরের বাইরে পা ফেলতে ভয় পাচ্ছিলেন এলাকার মানুষজন। নাওয়া-খাওয়া, ঘুম উড়ে গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। কাজে কর্মে যেতেও রীতিমতো ভয় পাচ্ছিলেন অনেকে। অবশেষে সেই আতঙ্ক থেকে স্বস্তি পেলেন আলিপুরদুয়ারের মথুরা চা বাগান সংলগ্ন এলাকার মানুষ। খাঁচা বন্দি করা হয়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘকে ৷
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ উদ্ধার হয়েছে আলিপুরদুয়ারের মথুরা চা বাগানের 16 নম্বর সেকশন থেকে। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় চিতাবাঘের আনাগোনার খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরাও সতর্ক হয়েছিলেন ৷ কিন্তু, কিছুতেই বনদফতরের পাতা খাঁচায় ধরা দিচ্ছিল না চিতিবাঘটি।
এর পর চা বাগানের 16 নম্বর সেকশনে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে বনদফতর। বৃহস্পতিবার সকালে খাঁচা-বন্দি চিতাবাঘের গর্জনে ঘুম ভাঙে স্থানীয় চা শ্রমিকদের। খবর পেয়ে জলদাপাড়া বনবিভাগের চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা ওই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এর পর নিয়ম মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতাবাঘটিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি চার বছর বয়সি স্ত্রী চিতাবাঘ। গত এক মাসে মথুরা চা বাগান থেকে এই নিয়ে তিনটি চিতাবাঘ ধরা পড়ল বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামের পর এবার পুরুলিয়া ৷ বনকর্মীদের 'বাঘবন্দি খেলা' এখনও অব্যাহত ৷ শনিবার গভীর রাতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের বাঘিনী জিনাত ৷ তার খোঁজে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের ৷ একাধিক পদক্ষেপ করেও নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না বাঘিনীর ৷ ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী ৷