বেলাগাভি, 26 ডিসেম্বর: মহাত্মা গান্ধির গরিমা খর্ব করার চেষ্টা চলেছে। কেন্দ্রের শাসক এবং তাদের নেপথ্যে থাকা রাজনৈতিক শক্তি গান্ধিজির অবদানকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি আজও দেশবাসীর কাছে অনুপ্রেরণার অন্য নাম। এমনই দাবি করলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধি।
বেলাগাভিতে দলের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়। তাঁর বক্তব্যে বিজেপি এবং আরএসএসের মোকাবিলার কথা বলা হয়েছে । পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, দেশে কয়েকটি শক্তি সক্রিয় হয়ে একটি নেতিবাচক বাতাবরণের সৃষ্টি করেছিল। সেই পরিবেশ থেকেই মহাত্মাকে হত্যার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে ।
বেলাগাভিতে ঠিক একশো বছর আগে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন হয়েছিল । তার সভাপতি ছিলেন মহাত্মা । সেই ঘটনাকে স্মরণ করতেই বিশেষ অনুষ্ঠান করছে কংগ্রেস । আর এখানে বৈঠকে বসে দলের ওয়ার্কিং কমিটি । এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সোনিয়া । তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয় এদিন । সেখানে গান্ধিজির নেতৃত্বে হওয়া এই অধিবেশন এবং তার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্পর্ক নিয়েও মন্তব্য প্রকাশ করেন সোনিয়া।
তিনি বলেন, " সেই সময়টা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । তবে এখন আমাদের লড়াই গান্ধিজির গরিমাকে রক্ষা করার । তাঁর মতাদর্শকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা ছিলেন। আগামিদিনেও তাই থাকবেন । সেই সময় ভারতের নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের পথপ্রদর্শক ছিলেন মহাত্মা। দিল্লির মসনদে যারা আছে তারা মহাত্মার সেই গরিমাকে খর্ব করতে চায় । আমাদের লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে । পাশাপাশি মতাদর্শের প্রশ্নে কেন্দ্রের শাসক শিবিরকে যারা সাহায্য করছে আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধেও ।" আর সেই সমস্ত শক্তি দেশকে স্বাধীন করতে কোনও ভূমিকাই পালন করেনি বলে দাবি সোনিয়ার ।
সোনিয়া জানান, মহাত্মার আদর্শকে পাথেয় করে বহু সংগঠন আজও সমাজের জন্য কাজ করে চলেছে । তাদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে । আর সেই জন্য তাঁদের 'নয়া সত্যাগ্রহ বৈঠক' করতে হচ্ছে । এখানেই তিনি বলেন, "পরিস্থিতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে গান্ধিজির আদর্শ রক্ষা করতে লড়াইয়ে সামিল হওয়া আমাদের সকলের পবিত্র কর্তব্য । ওই সমস্ত শক্তি (যারা বিজেপিকে সাহায্য করে)-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকেই শপথ নিতে হবে । "