বেঙ্গালুরু, 19 ফেব্রুয়ারি: মুডা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রীকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত পুলিশ ৷ বুধবার লোকায়ুক্ত পুলিশ জানায়, মুডা দুর্নীতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷
এই ঘটনায় কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা সাংবাদিকদের বলেন, লোকায়ুক্ত রিপোর্ট সিদ্দারামাইয়াকে যে বেকসুর খালাস দিচ্ছে, সেটাই আশা করা হয়েছিল ৷ অন্যদিকে এই দুর্নীতিতে মামলাকারী সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, "যে আধিকারিকরা নিজেদের বিবেক বিক্রি করে দিয়েছেন, তাঁরাই এধরনের রিপোর্ট দিতে পারেন ৷"
Mysuru, Karnataka | MUDA scam complainant, Activist Snehamayi Krishna says, " lokayuktha officials have behaved like they have sold their souls to political leaders. even though i have submitted all required documents, lokayuktha police have given notice saying that they're going… pic.twitter.com/HqpiwuFi7Z
— ANI (@ANI) February 19, 2025
তদন্তকারী আধিকারিকরা এদিন জানান, তাঁরা চূড়ান্ত রিপোর্ট কর্ণাটক হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন ৷ লোকায়ুক্ত পুলিশ মামলাকারী কৃষ্ণাকে চিঠিতে জানিয়েছেন, "প্রথম অভিযুক্ত থেকে শুরু করে চতুর্থ অভিযুক্ত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ চূড়ান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ৷" কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী এবং জমির মালিক দেবারাজুর বিরুদ্ধে মাইসোর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির জমি কেনায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল ৷
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার পাশাপাশি লোকায়ুক্ত পুলিশ জানিয়েছে, 2016 সাল থেকে 20124 সাল পর্যন্ত মাইসোর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি'র (মুডা) ক্ষতিপূরণের জমি দিয়েছিল 50:50 অনুপাতে ৷ এই অভিযোগের আরও তদন্ত হবে ৷ সিআরপিসির 173 নম্বর ধারায় হাইকোর্টে আরেকটি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে ৷
মুডার জমি বিতরণ মামলায় অভিযোগ উঠেছে, মাইসুরুর খাস বাজার এলাকায় সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে কমপেনসেটরি জমি দেওয়া হয়েছিল ৷ মুডা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রীর যে জমি অধিগ্রহণ করে, তার তুলনায় এই জমির দাম যথেষ্ট চড়া ছিল ৷ পার্বতীর 3.16 একর জমির পরিবর্তে মুডা তাঁকে 50:50 প্রকল্পের অনুপাতে এই জমি দেয় ৷