ETV Bharat / state

বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস', অংশ নিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারা - INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' । 'অমর একুশে' গানে গানে অংশ নিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারাও ৷

INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY
বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 21, 2025, 12:12 PM IST

বোলপুর, 21 ফেব্রুয়ারি: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' । 'অমর একুশে' গানে গানে অংশ নিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারাও ৷ তবে এবার বাংলাদেশ ভবনের বদলে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে উদযাপিত হল মাতৃভাষা দিবস । বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হয়েছে সন্ধ্যানুষ্ঠানও ৷ যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ ভবন সংস্কারের কাজ চলছে, তাই স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে । ওপার বাংলায় পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এপার বাংলায় বন্ধন অটুট।

অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, "বাংলাদেশের পড়ুয়াদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বড় বিষয় ৷ এটা আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ৷ এপার বা ওপার বাংলা বলে নয়, সকল ভাষাভাষী দিবস আজ । সংস্কারের কাজ চলার জন্য বাংলাদেশ ভবনে অনুষ্ঠান হয়নি ৷ পরে আবার হলে তা হবে কখনও ৷"

বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' (ইটিভি ভারত)

1947 সাল থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন, যা চরমে পৌঁছয় 1952 সালে । সেই সময়, 144 ধারা ভঙ্গ করে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য পথে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ৷ নির্বিচারে তাঁদের উপর গুলি চালায় পুলিশ । রক্তাক্ত হয় রাজপথ । তারপর থেকে ভাষার জন্য শহিদদের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয় 'ভাষা দিবস' হিসেবে ৷ পরে মেলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি । 2010 সালে 21 ফেব্রুয়ারি দিনটিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ ৷

প্রতি বছর বিশেষ এই দিনটি উদযাপিত হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে ৷ এবারও তার অন্যথা হল না ৷ 'মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা...', 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...', 'বাংলার মাটি বাংলার জল...', 'আমি বাংলায় গান গাই...' প্রভৃতি গানে গানে উদযাপিত হল মাতৃভাষা দিবস ।

INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY
'অমর একুশে' গানে গানে অংশ নিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারাও (নিজস্ব চিত্র)

গত 15 ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন 'আমি বাংলায় গান গাই...'-এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায় । তাঁকেও স্মরণ করা হয় গানের মধ্য দিয়ে ৷ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্বভারতীতে পাঠরত বাংলাদেশী পড়ুয়ারাও ৷ গানে গানে প্রভাত ফেরির পর ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে শহিদ বেদীর পাদদেশে সমবেত হন সকলে । বেদীতে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন, বাংলাদেশ ভবনের সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ-সহ বাকি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা ৷

প্রসঙ্গত, 2017 সালে বিশ্বভারতীতে আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ হয় ৷ বাংলাদেশ সরকারের 40 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছিল ভবনটি ৷ সেই বছর 25মে আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে হাতে এই ভবনের নক্সা তৈরি করেছিলেন ৷ তারপর থেকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' ভবন প্রাঙ্গণেই উদযাপিত হয়ে আসছে ৷

INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY
শহিদ বেদীতে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন (নিজস্ব চিত্র)

কিন্তু, এবার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ বাতিল করা হয়েছে সন্ধ্যানুষ্ঠানও ৷ প্রতি বছর বাংলাদেশ ভবনের প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশী পড়ুয়াদের তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এবার তা বাতিল করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার স্থান পরিবর্তন করে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্র করা হয়েছে ।

2024 সালের 5 অগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর মুজিবুর রহমানের মূর্তি, ভাস্কর্য ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এখনও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার অব্যাহত, তা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ । তাই বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালা সেদিন থেকেই সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । কারণ, এই সংগ্রহশালায় রয়েছে মুজিবুর রহমানের মূর্তি, বাংলা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বহু নথি, ভাস্কর্য, বই, শিলালিপি, ছবি প্রভৃতি ৷ যদিও, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ভবন সংস্কারের কাজ চলছে তাই স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।

তবে, ওপার বাংলায় পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে দুই বাংলা এক ৷ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে । প্রতি বছরই বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগে ওপার বাংলার 40-50 জন পড়ুয়া গড়ে ভর্তি হন ৷ সেই পড়ুয়ারাই এদেশের মাটিতে উদযাপন করলেন 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' ৷

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন বলেন, "খুব সুন্দর অনুষ্ঠান হল ৷ সংস্কার হচ্ছে তাই বাংলাদেশ ভবনের বদলে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে হল অনুষ্ঠানটি ৷ ওপার বাংলার পড়ুয়ারাও অংশ নিয়েছেন ৷ ওরাও খুশি, আমরাও খুশি ৷" বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে কথা ঘোষ, অর্পিতা বসুনিয়া পুজা, উচ্ছ্বাসি দেওয়ান বলেন, "সকাল থেকে গানে গানে উদযাপিত হল ভাষা দিবস । বাংলাদেশেও এভাবেই পালন করতাম ৷ এপার বাংলা বা ওপার বাংলা বলে কোনও বিভেদ বুঝিনি ৷ সুন্দর একটা অনুভূতি হল ।" বিশ্বভারতীর ভারতীয় পড়ুয়া চর্চিতা রায় বলেন, "এক একটা গানের লাইন যেন অন্য জায়গায় ফিরে গেলাম ৷ এক অন্য রকম অনুভূতি । সবাই মিলে এক সঙ্গে উদযাপন করলাম এটাই ভালো লাগা ।"

পড়ুন: বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের পাশেই খুলল 'বাংলার হাট', উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বোলপুর, 21 ফেব্রুয়ারি: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' । 'অমর একুশে' গানে গানে অংশ নিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারাও ৷ তবে এবার বাংলাদেশ ভবনের বদলে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে উদযাপিত হল মাতৃভাষা দিবস । বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হয়েছে সন্ধ্যানুষ্ঠানও ৷ যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ ভবন সংস্কারের কাজ চলছে, তাই স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে । ওপার বাংলায় পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এপার বাংলায় বন্ধন অটুট।

অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, "বাংলাদেশের পড়ুয়াদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বড় বিষয় ৷ এটা আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ৷ এপার বা ওপার বাংলা বলে নয়, সকল ভাষাভাষী দিবস আজ । সংস্কারের কাজ চলার জন্য বাংলাদেশ ভবনে অনুষ্ঠান হয়নি ৷ পরে আবার হলে তা হবে কখনও ৷"

বিশ্বভারতীতে উদযাপিত হল 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' (ইটিভি ভারত)

1947 সাল থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন, যা চরমে পৌঁছয় 1952 সালে । সেই সময়, 144 ধারা ভঙ্গ করে একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য পথে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ৷ নির্বিচারে তাঁদের উপর গুলি চালায় পুলিশ । রক্তাক্ত হয় রাজপথ । তারপর থেকে ভাষার জন্য শহিদদের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয় 'ভাষা দিবস' হিসেবে ৷ পরে মেলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি । 2010 সালে 21 ফেব্রুয়ারি দিনটিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ ৷

প্রতি বছর বিশেষ এই দিনটি উদযাপিত হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে ৷ এবারও তার অন্যথা হল না ৷ 'মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা...', 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...', 'বাংলার মাটি বাংলার জল...', 'আমি বাংলায় গান গাই...' প্রভৃতি গানে গানে উদযাপিত হল মাতৃভাষা দিবস ।

INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY
'অমর একুশে' গানে গানে অংশ নিলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারাও (নিজস্ব চিত্র)

গত 15 ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন 'আমি বাংলায় গান গাই...'-এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায় । তাঁকেও স্মরণ করা হয় গানের মধ্য দিয়ে ৷ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্বভারতীতে পাঠরত বাংলাদেশী পড়ুয়ারাও ৷ গানে গানে প্রভাত ফেরির পর ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে শহিদ বেদীর পাদদেশে সমবেত হন সকলে । বেদীতে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন, বাংলাদেশ ভবনের সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ-সহ বাকি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা ৷

প্রসঙ্গত, 2017 সালে বিশ্বভারতীতে আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ হয় ৷ বাংলাদেশ সরকারের 40 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছিল ভবনটি ৷ সেই বছর 25মে আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে হাতে এই ভবনের নক্সা তৈরি করেছিলেন ৷ তারপর থেকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' ভবন প্রাঙ্গণেই উদযাপিত হয়ে আসছে ৷

INTERNATIONAL MOTHER LANGUAGE DAY
শহিদ বেদীতে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন (নিজস্ব চিত্র)

কিন্তু, এবার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ বাতিল করা হয়েছে সন্ধ্যানুষ্ঠানও ৷ প্রতি বছর বাংলাদেশ ভবনের প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশী পড়ুয়াদের তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এবার তা বাতিল করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার স্থান পরিবর্তন করে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্র করা হয়েছে ।

2024 সালের 5 অগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর মুজিবুর রহমানের মূর্তি, ভাস্কর্য ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এখনও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার অব্যাহত, তা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ । তাই বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালা সেদিন থেকেই সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । কারণ, এই সংগ্রহশালায় রয়েছে মুজিবুর রহমানের মূর্তি, বাংলা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বহু নথি, ভাস্কর্য, বই, শিলালিপি, ছবি প্রভৃতি ৷ যদিও, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ভবন সংস্কারের কাজ চলছে তাই স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।

তবে, ওপার বাংলায় পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে দুই বাংলা এক ৷ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে । প্রতি বছরই বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগে ওপার বাংলার 40-50 জন পড়ুয়া গড়ে ভর্তি হন ৷ সেই পড়ুয়ারাই এদেশের মাটিতে উদযাপন করলেন 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' ৷

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সরেন বলেন, "খুব সুন্দর অনুষ্ঠান হল ৷ সংস্কার হচ্ছে তাই বাংলাদেশ ভবনের বদলে ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে হল অনুষ্ঠানটি ৷ ওপার বাংলার পড়ুয়ারাও অংশ নিয়েছেন ৷ ওরাও খুশি, আমরাও খুশি ৷" বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে কথা ঘোষ, অর্পিতা বসুনিয়া পুজা, উচ্ছ্বাসি দেওয়ান বলেন, "সকাল থেকে গানে গানে উদযাপিত হল ভাষা দিবস । বাংলাদেশেও এভাবেই পালন করতাম ৷ এপার বাংলা বা ওপার বাংলা বলে কোনও বিভেদ বুঝিনি ৷ সুন্দর একটা অনুভূতি হল ।" বিশ্বভারতীর ভারতীয় পড়ুয়া চর্চিতা রায় বলেন, "এক একটা গানের লাইন যেন অন্য জায়গায় ফিরে গেলাম ৷ এক অন্য রকম অনুভূতি । সবাই মিলে এক সঙ্গে উদযাপন করলাম এটাই ভালো লাগা ।"

পড়ুন: বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের পাশেই খুলল 'বাংলার হাট', উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.