কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি : কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে CBI অফিসাররা আচমকা হাজির হওয়ার পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নামেন পথে। বসে পড়েন ধরনায়। ধীরে ধীরে ধরনা মঞ্চ পরিণত হয় BJP-বিরোধী মঞ্চে। যাঁরা সেখানে এসেছেন সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। ফের উঠেছে মোদিও হটাও স্লোগান। কিন্তু, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে প্রতারিতদের কথা শোনা যায়নি কারও মুখে। তাই ধরনা মঞ্চের সামনেই বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রতারিতদের একাংশ। অল বেঙ্গল সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে শুরু হয় প্রতিবাদ। কিন্তু, ধরনা মঞ্চের আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে নিউমার্কেট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে একাধিকবার ডেকে পাঠানো হলেও CBI দপ্তরে হাজির হননি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। এভাবে এড়িয়ে যেতে থাকলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে শনিবার খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর রবিবার আচমকাই তাঁর বাসভবনে যান CBI আধিকারিকরা। এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মেট্রো চ্যানেলে মঞ্চ বেঁধে বসে পড়েন ধরনায়। সেখানে হাজির হয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, তেজস্বী যাদব, কানিমোঝিরা। কিন্তু, যে আমানতকারীরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন তাঁদের বিষয়টি কারও বক্তব্যেই উঠে আসেনি।
কংগ্রেস ও CPI(M)-এর বক্তব্য, টাকা ফেরানো হোক আমানতকারীদের। মহম্মদ সেলিম বলেন, "চিটফান্ড নিয়ে রাজনীতি চলছে। কিন্তু সবাই ভুলে গেছে প্রতারিতদের কথা। তাদের টাকা ফেরানো হোক। রাজ্য সরকার তো সেই কারণেই রাজীব কুমারের নেতৃত্বে SIT তৈরি করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন টাকা ফেরানো হবে। এখন সেকথা তাঁর মুখে নেই।" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “সবই হচ্ছে, শুধু আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে না। কংগ্রেস প্রথম থেকেই টাকা ফেরানোর দাবি জানাচ্ছে।" আর গতকাল দুপুরে বউবাজার মোড়ে জড়ো হন অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। ধরনা মঞ্চে পুলিশের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যায় মিছিল। বেগতিক বুঝে নিউমার্কেট থানার কাছে কয়েকজন পুলিশকর্মী তাদের আটকায়। তখন রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। পরে আরও পুলিশকর্মী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।