কলকাতা, 12 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফায় পর্যাপ্ত বাহিনী পেতে চলেছে রাজ্য। সূত্রের খবর, মোট 134 কম্পানি বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে দ্বিতীয় দফায়। এর মধ্যে থাকবে 31 কম্পানি CRPF, 67 কম্পানি BSF, 11 কম্পানি মেঘালয় পুলিশ, 10 কম্পানি SSB, 5 কম্পানি নাগাল্যান্ড পুলিশ, 8 কম্পানি সিকিম পুলিশ, 2 কম্পানি ত্রিপুরা পুলিশ।
প্রথম দফার নির্বাচনে 83 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও অভিযোগ উঠেছে বিস্তর। বিরোধীদের অভিযোগ, যেসব বুথে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ ছিল, সেই বুথগুলিতে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল কোচবিহারের BJP প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এই অভিযোগ তোলেন। আজ একই অভিযোগ নিয়ে BJP-র পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকেই দাবি জানানো হয়, রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী যেখানে যেখানে মোতায়েন ছিল, সেখানেই গন্ডগোল হয়েছে। তাই পরের দফাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট করাতে হবে। একই দাবি তুলেছে কংগ্রেসও। এই বিষয়গুলি পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশনের কাছেও। রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে যে রিপোর্ট পেয়েছেন, তাতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন অনুভব করেছে কমিশন। আরও 53 কম্পানি বাহিনী আনা হচ্ছে রাজ্যে। 2 কম্পানি এখনও রাখা হচ্ছে কোচবিহারে।
ইতিমধ্যে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে মোতায়েন করা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আগামী দফার জন্য দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। আজ সকালেই কয়েক কম্পানি বাহিনী পৌঁছে গেছে। ভোটারদের আস্থা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে তারা। ইসলামপুর সহ বেশকিছু জায়গায় শুরু হয়েছে রুটমার্চও।
তবে সূত্রের খবর, এই 134 কম্পানি বাহিনীতে সব বুথ কভার হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে দার্জিলিঙে আগে থেকেই মোতায়েন থাকা 3 কম্পানি CRPF-কে কাজে লাগানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে কমিশন। পাশাপাশি আরও কিছু বাহিনী আনার চেষ্টা চলছে। প্রথম দফায় অতিরিক্ত বাহিনী চেয়েও তা পায়নি কমিশন। এক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় কি না সেটাই এখন দেখার।
এই সংক্রান্ত খবর : পুনর্নির্বাচনের দাবি বিরোধীদের, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন