কলকাতা, 18 নভেম্বর: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় হাসপাতালের পাঁচটি ডিভিআর ও পাঁচটি হার্ডডিস্ক সিএফএসএল-এ পাঠালো সিবিআই । এবার সিএফএসএল-এর রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে তদন্তকারীরা ।
এর আগেও আরজি কর হাসপাতালের একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষার জন্য সিএফএসএল-এ পাঠিয়েছিল সিবিআই । এবার সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে চাইছেন তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালের সার্ভার থেকে কোনও তথ্য মুছে ফেলা হয়েছিল কি না !
গত 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে সেখানকার তরুণী চিকিৎসককের দেহ উদ্ধার হয় । অভিযোগ ওঠে, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে ৷ পরে তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত । তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পরে কলকাতা হাইকোর্টের এই ঘটনার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে ।
পরে সিবিআই আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তে নেমে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ঘটনায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই । এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই ৷ শিয়ালদা আদালতে চার্জ গঠনের পর বিচারও শুরু হয়েছে ৷ সেই প্রক্রিয়ায় এক এক করে সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়েছে ৷
সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও শুনানি চলছে ৷ সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানি করছে ৷ সেখানে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই ৷ ইলেকট্রনিক প্রমাণ সঠিকভাবে না-দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় ৷ সেই নিয়ে দুই তরফের আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল ৷
যদিও আগেও একাধিক হাসপাতালের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষার জন্য সিএফএসএল-এ পাঠিয়েছিল সিবিআই । তার পর নতুন করে ডিভিআর ও হার্ডডিস্ক পরীক্ষার জন্য পাঠালেন তদন্তকারীরা ৷ এখন দেখার সেখান থেকে কী তথ্য আসে !