ETV Bharat / state

Cattle Smuggling Case: গরুপাচারে বিপুল অর্থের লেনদেনে জড়িত কোন কোন ভুয়ো সংস্থা ! তদন্তে সিবিআই - গরুপাচার কাণ্ডের তদন্ত

গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে সিবিআই ৷ এই পাচার থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা আসত পাচারকারীদের হাতে ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, সেই টাকা বহু ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ত বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে (CBI tracking accounts of multiple shell entities used to divert Bengal cattle scam proceeds) ৷

Cattle Smuggling Case CBI
ETV Bharat
author img

By

Published : Nov 2, 2022, 8:26 AM IST

Updated : Nov 2, 2022, 9:20 AM IST

কলকাতা, 2 নভেম্বর: গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিবিআই ৷ তাদের দাবি, কোটি কোটি টাকার লেনদেন হত এই পাচারের মাধ্যমে ৷ সেই টাকা একাধিক ভুয়ো কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হত ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপুল অর্থ সরাতে ভুয়ো কর্পোরেট সংস্থার একটি চেন কাজ করত ৷ প্রথমে এই চেনের একেবারে নিচু স্তরে থাকা সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা যেত ৷ এরপর তারা ওই অর্থের একটি অংশ বহু ভুয়ো কর্পোরেট সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিত (Central Bureau of Investigation carries on its probe on the multi-crore cattle smuggling scam in West Bengal) ৷ এ নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ।

গরুপাচারের কাণ্ডে ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল । সিবিআইয়ের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডিও । এই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে আজ দিল্লিতে তলব করেছে । এর আগেও তাঁকে একবার দিল্লিতে সমন পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান সুকন্যা ৷

সূত্রে এও জানা গিয়েছে, চার্জশিটে নাম থাকা চারজনের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ৷ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চারটি সংস্থার সদর দফতর কলকাতায় ৷ চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেউ এলাকা ছাড়বি না, আদালতে বসেই অনুগামীদের পরামর্শ কেষ্টর

আধিকারিকরা চারটি কর্পোরেট সংস্থার নাম প্রকাশ করেননি ৷ তবে তারা নিশ্চিত যে ওই চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে তুলনায় কম পরিমাণে অর্থ 25টি অন্য কর্পোরেট সংস্থায় ছড়িয়ে পড়েছে ৷ তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, এই সংস্থাগুলি চেনটির তৃতীয় স্তরে রয়েছে ৷ ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্ট যে ব্যাঙ্কে, সিবিআই আধিকারিকেরা এখন সেই শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করছে ৷

সম্প্রতি সিবিআই আসানসোলের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ৷ সেখানে গরুপাচার কাণ্ড থেকে পাওয়া টাকার প্রধান সুবিধেভোগী হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিস্তারিত জানিয়েছে, "কী ভাবে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবার নির্ধারিত দামের থেকে কম মূল্যে সম্পত্তি কিনেছেন" ৷ সেই সম্পত্তির একটা অংশ বাজারদরে বিক্রি করার কথাও আছে চার্জশিটে ৷

7 অক্টোবর জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দু'টি আলাদা তালিকা প্রকাশ করেছে ৷ প্রথমে, 2013-22 সালের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবার কী ভাবে সম্পত্তি কিনেছে ৷ দ্বিতীয়ত, 2015-21 সালের সময়ে কী ভাবে সম্পত্তি বিক্রি করেছে ৷ আপাতত তৃণমূলের জেলা সভাপতি কেষ্ট আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে (Asansol Special Correctional Home) রয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিলে তবেই কি জামিন, আদালতে সওয়াল অনুব্রতর আইনজীবীর

কলকাতা, 2 নভেম্বর: গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিবিআই ৷ তাদের দাবি, কোটি কোটি টাকার লেনদেন হত এই পাচারের মাধ্যমে ৷ সেই টাকা একাধিক ভুয়ো কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হত ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপুল অর্থ সরাতে ভুয়ো কর্পোরেট সংস্থার একটি চেন কাজ করত ৷ প্রথমে এই চেনের একেবারে নিচু স্তরে থাকা সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা যেত ৷ এরপর তারা ওই অর্থের একটি অংশ বহু ভুয়ো কর্পোরেট সংস্থার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিত (Central Bureau of Investigation carries on its probe on the multi-crore cattle smuggling scam in West Bengal) ৷ এ নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ।

গরুপাচারের কাণ্ডে ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল । সিবিআইয়ের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডিও । এই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে আজ দিল্লিতে তলব করেছে । এর আগেও তাঁকে একবার দিল্লিতে সমন পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান সুকন্যা ৷

সূত্রে এও জানা গিয়েছে, চার্জশিটে নাম থাকা চারজনের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ৷ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চারটি সংস্থার সদর দফতর কলকাতায় ৷ চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেউ এলাকা ছাড়বি না, আদালতে বসেই অনুগামীদের পরামর্শ কেষ্টর

আধিকারিকরা চারটি কর্পোরেট সংস্থার নাম প্রকাশ করেননি ৷ তবে তারা নিশ্চিত যে ওই চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে তুলনায় কম পরিমাণে অর্থ 25টি অন্য কর্পোরেট সংস্থায় ছড়িয়ে পড়েছে ৷ তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, এই সংস্থাগুলি চেনটির তৃতীয় স্তরে রয়েছে ৷ ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্ট যে ব্যাঙ্কে, সিবিআই আধিকারিকেরা এখন সেই শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করছে ৷

সম্প্রতি সিবিআই আসানসোলের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ৷ সেখানে গরুপাচার কাণ্ড থেকে পাওয়া টাকার প্রধান সুবিধেভোগী হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিস্তারিত জানিয়েছে, "কী ভাবে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবার নির্ধারিত দামের থেকে কম মূল্যে সম্পত্তি কিনেছেন" ৷ সেই সম্পত্তির একটা অংশ বাজারদরে বিক্রি করার কথাও আছে চার্জশিটে ৷

7 অক্টোবর জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই দু'টি আলাদা তালিকা প্রকাশ করেছে ৷ প্রথমে, 2013-22 সালের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবার কী ভাবে সম্পত্তি কিনেছে ৷ দ্বিতীয়ত, 2015-21 সালের সময়ে কী ভাবে সম্পত্তি বিক্রি করেছে ৷ আপাতত তৃণমূলের জেলা সভাপতি কেষ্ট আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে (Asansol Special Correctional Home) রয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিলে তবেই কি জামিন, আদালতে সওয়াল অনুব্রতর আইনজীবীর

Last Updated : Nov 2, 2022, 9:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.