ETV Bharat / state

ক্যানিংয়ের পর সামশেরনগর ! সুন্দরবনে বিএসএফের জালে 3 সন্দেহভাজন জঙ্গি - SUSPECTED TERRORISTS ARRESTED

সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী এলাকা সামশেরনগর থেকে বিএসএফের জালে ধরা পড়ল তিনজন সন্দেহভাজন জঙ্গি ৷ তাদের হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷

ETV BHARAT
সুন্দরবনে বিএসএফের জালে 3 সন্দেহভাজন জঙ্গি (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

হেমনগর, 23 ডিসেম্বর: ক্যানিংয়ের পর সামশেরনগর ! জঙ্গি দমনে ফের বড়সড় সাফল্য বিএসএফের । উত্তর 24 পরগনার সুন্দরবনের সীমান্ত এলাকা থেকে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী । পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে ।

বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত আবদুল মোবারক, মহম্মদ হানিফ ও আবদুল সালাম তিনজনই দিল্লির বাসিন্দা । তারা সেখানে কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে বিএসএফ সূত্রে । মাঝেমধ্যে বাংলাদেশেও যাতায়াত ছিল ধৃত তিনজনের । তাদের প্রাথমিক জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা । ধৃতদের কাছ থেকে ভারতীয় বেশকিছু নথিপত্র, আধার ও ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে । তবে, সেগুলো বৈধ কি না, তা খতিয়ে দেখছে হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ ।

ETV BHARAT
আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের (নিজস্ব চিত্র)

সূত্রের খবর, রবিবার রাতে এই তিন সন্দেহভাজন সামশেরনগরের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতস্তত ঘোরাফেরা করছিল । তখনই তাদের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর 118 নম্বর ব‍্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের । কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় ওই তিনজনকে আটক করে বিএসএফ ক‍্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের । কিন্তু, কোনও কিছুরই সদুত্তর দিতে পারেনি তারা । এরপরই ওই তিন সন্দেহভাজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে, পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের ।

প্রাথমিকভাবে বিএসএফের অনুমান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ওই তিন সন্দেহভাজন বাংলাদেশে যাওয়ার ছক কষেছিল । সেখানে কার সঙ্গে তাদের যোগাযোগের পরিকল্পনা ছিল, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী কুঁকড়ে খালি নদী পার করে কেন ধৃতরা বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ? কেনই বা বৈধ নথিপত্র ছাড়া ওপার বাংলায় যাওয়ার ছক কষেছিল তারা ? এই সমস্ত প্রশ্নেরই এখন উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন বসিরহাট জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ।

এই বিষয়ে বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার মেহেদি হোসেন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "গোটা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কী উদ্দেশ্যে ধৃতরা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল তা তদন্ত করে দেখছি আমরা । ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে ।" অন‍্যদিকে, ধৃত তিন সন্দেহভাজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সোমবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ।

প্রসঙ্গত, রবিবারই দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং থেকে জাভেদ মুন্সি নামে এক সন্দেহভাজন কাশ্মীরি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় । পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই জঙ্গি ক্যানিংয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল । তার সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার যোগ রয়েছে বলে খবর । এর আগে ভারতীয় জাল নথিপত্র-সহ আট জঙ্গি ধরা পড়েছিল অসম এসটিএফের হাতে । ধৃতদের মধ্যে দু'জন ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে ৷ এবার পশ্চিমবঙ্গের আরও এক সীমান্তবর্তী জেলা থেকে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করল বিএসএফ ।

হেমনগর, 23 ডিসেম্বর: ক্যানিংয়ের পর সামশেরনগর ! জঙ্গি দমনে ফের বড়সড় সাফল্য বিএসএফের । উত্তর 24 পরগনার সুন্দরবনের সীমান্ত এলাকা থেকে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী । পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে ।

বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত আবদুল মোবারক, মহম্মদ হানিফ ও আবদুল সালাম তিনজনই দিল্লির বাসিন্দা । তারা সেখানে কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে বিএসএফ সূত্রে । মাঝেমধ্যে বাংলাদেশেও যাতায়াত ছিল ধৃত তিনজনের । তাদের প্রাথমিক জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা । ধৃতদের কাছ থেকে ভারতীয় বেশকিছু নথিপত্র, আধার ও ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে । তবে, সেগুলো বৈধ কি না, তা খতিয়ে দেখছে হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ ।

ETV BHARAT
আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের (নিজস্ব চিত্র)

সূত্রের খবর, রবিবার রাতে এই তিন সন্দেহভাজন সামশেরনগরের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতস্তত ঘোরাফেরা করছিল । তখনই তাদের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর 118 নম্বর ব‍্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের । কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় ওই তিনজনকে আটক করে বিএসএফ ক‍্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের । কিন্তু, কোনও কিছুরই সদুত্তর দিতে পারেনি তারা । এরপরই ওই তিন সন্দেহভাজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে, পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের ।

প্রাথমিকভাবে বিএসএফের অনুমান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ওই তিন সন্দেহভাজন বাংলাদেশে যাওয়ার ছক কষেছিল । সেখানে কার সঙ্গে তাদের যোগাযোগের পরিকল্পনা ছিল, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী কুঁকড়ে খালি নদী পার করে কেন ধৃতরা বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ? কেনই বা বৈধ নথিপত্র ছাড়া ওপার বাংলায় যাওয়ার ছক কষেছিল তারা ? এই সমস্ত প্রশ্নেরই এখন উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন বসিরহাট জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ।

এই বিষয়ে বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার মেহেদি হোসেন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "গোটা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কী উদ্দেশ্যে ধৃতরা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল তা তদন্ত করে দেখছি আমরা । ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে ।" অন‍্যদিকে, ধৃত তিন সন্দেহভাজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সোমবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ।

প্রসঙ্গত, রবিবারই দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং থেকে জাভেদ মুন্সি নামে এক সন্দেহভাজন কাশ্মীরি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় । পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই জঙ্গি ক্যানিংয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল । তার সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার যোগ রয়েছে বলে খবর । এর আগে ভারতীয় জাল নথিপত্র-সহ আট জঙ্গি ধরা পড়েছিল অসম এসটিএফের হাতে । ধৃতদের মধ্যে দু'জন ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে ৷ এবার পশ্চিমবঙ্গের আরও এক সীমান্তবর্তী জেলা থেকে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে পাকড়াও করল বিএসএফ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.