ETV Bharat / state

চা-বাগানের জমি নিয়ে জোর করে আইন করলে পরিণাম খারাপ হবে, মমতাকে হুঁশিয়ারি রাজু বিস্তার - RAJU BISTA WARNS MAMATA

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে চা-বাগানে ইস্যুতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা ৷

BJP MP Raju Bista
রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 26, 2025, 5:21 PM IST

কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: চা-বাগানের অব্যবহৃত জমির 30 শতাংশ শিল্পপতিদের দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যার তীব্র বিরোধিতা করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা । এই নিয়ে রাজ্যের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারিও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি ৷

বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন রাজু বিস্তা ৷ রাজ্যপালের কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি ৷ পরে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ একাধিক দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ শুধু তাই নয়, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে বৃহত্তম আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ ।

চা-বাগানের জমি নিয়ে জোর করে আইন করলে পরিণাম খারাপ হবে, মমতাকে হুঁশিয়ারি রাজু বিস্তার (ইটিভি ভারত)

রাজুর কথায়, "নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের 1000 একর জমি ছিল । এখানে 1 লক্ষ একরের বেশি জমি । ফলে, দার্জিলিং এবং চা-বাগান এলাকার মানুষদের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তার যে পরিমাণ ঘটবে, তার জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন ।" কার্যত, চা-বাগানের জমি শিল্পের জন্য ব‍্যবহার করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি ।

এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন রাজু বিস্তা ৷ বাইরে এসে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় উত্তরবঙ্গতে সমস্যা হচ্ছে । চা-বাগানের জমি পুঁজিপতিদের দেওয়া হচ্ছে । 1 লক্ষ একরের বেশি জমি উদ্যোগপতিদের দেওয়া হচ্ছে । সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের থেকেও বেশি জমি দেওয়া হচ্ছে । 1955 থেকে আজ পর্যন্ত চা-বাগান এলাকার অব্যবহৃত জমি ফিরে পাওয়া যায়নি ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও চা-বাগানের জমি চায়ের কাজ বাদে অন্য কারণে যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার জন্য টি-বোর্ডের অনুমোদন লাগে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, চা-বাগানের খালি জমি নাকি দেওয়া হবে । কিন্তু, যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, সেটা উল্টো বলছে । আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে খালি জমির কথা বলছেন, সেটা আদতে সঠিক নয় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর করে এই আইন করলে, পরিণাম খারাপ হবে ।’’

BJP MP Raju Bista
রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা (নিজস্ব ছবি)

এই নিয়ে রাজু বিস্তার আরও বক্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রামের চেয়ে বেশি জমি । উদ্যোগপতিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বিশ্বাস করবেন না । এই বিষয়ে আজ রাজ্যপালকে বললাম । তিনি আইনি দিক এবং সাংবিধানিক বিষয়ে প্রতিরোধে রেখে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ।"

রাজু বিস্তার আরও দাবি, "দার্জিলিং সিকিমের অংশ ছিল । ইংরেজরা সিকিম থেকে লিজ নেয় । স্বাধীনতার পর এটা বঙ্গের অংশ হল । তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও অধিকার নেই ।"

কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: চা-বাগানের অব্যবহৃত জমির 30 শতাংশ শিল্পপতিদের দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যার তীব্র বিরোধিতা করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা । এই নিয়ে রাজ্যের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারিও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি ৷

বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন রাজু বিস্তা ৷ রাজ্যপালের কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি ৷ পরে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ একাধিক দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ শুধু তাই নয়, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে বৃহত্তম আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ ।

চা-বাগানের জমি নিয়ে জোর করে আইন করলে পরিণাম খারাপ হবে, মমতাকে হুঁশিয়ারি রাজু বিস্তার (ইটিভি ভারত)

রাজুর কথায়, "নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের 1000 একর জমি ছিল । এখানে 1 লক্ষ একরের বেশি জমি । ফলে, দার্জিলিং এবং চা-বাগান এলাকার মানুষদের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তার যে পরিমাণ ঘটবে, তার জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন ।" কার্যত, চা-বাগানের জমি শিল্পের জন্য ব‍্যবহার করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি ।

এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন রাজু বিস্তা ৷ বাইরে এসে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় উত্তরবঙ্গতে সমস্যা হচ্ছে । চা-বাগানের জমি পুঁজিপতিদের দেওয়া হচ্ছে । 1 লক্ষ একরের বেশি জমি উদ্যোগপতিদের দেওয়া হচ্ছে । সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের থেকেও বেশি জমি দেওয়া হচ্ছে । 1955 থেকে আজ পর্যন্ত চা-বাগান এলাকার অব্যবহৃত জমি ফিরে পাওয়া যায়নি ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও চা-বাগানের জমি চায়ের কাজ বাদে অন্য কারণে যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার জন্য টি-বোর্ডের অনুমোদন লাগে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, চা-বাগানের খালি জমি নাকি দেওয়া হবে । কিন্তু, যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, সেটা উল্টো বলছে । আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে খালি জমির কথা বলছেন, সেটা আদতে সঠিক নয় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর করে এই আইন করলে, পরিণাম খারাপ হবে ।’’

BJP MP Raju Bista
রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা (নিজস্ব ছবি)

এই নিয়ে রাজু বিস্তার আরও বক্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রামের চেয়ে বেশি জমি । উদ্যোগপতিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বিশ্বাস করবেন না । এই বিষয়ে আজ রাজ্যপালকে বললাম । তিনি আইনি দিক এবং সাংবিধানিক বিষয়ে প্রতিরোধে রেখে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ।"

রাজু বিস্তার আরও দাবি, "দার্জিলিং সিকিমের অংশ ছিল । ইংরেজরা সিকিম থেকে লিজ নেয় । স্বাধীনতার পর এটা বঙ্গের অংশ হল । তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও অধিকার নেই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.