কলকাতা, 3 এপ্রিল: গরু পাচার মামলায় এবার কাস্টমসের চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই চার কাস্টমস আধিকারিককে চলতি সপ্তাহের মধ্যে নিজাম প্যালেসে গিয়ে তদন্তকারীদের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। রাজ্যে গরুপাচারের তদন্তে নেমে সিবিআই একাধিক তথ্য প্রমাণ ঘাঁটতে গিয়ে বেশ কয়েকজন কাস্টমস আধিকারিকের কথা জানতে পেরেছে । তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের যে চার্জশিট পেশ করেছিল তাতে একাধিক সময় নানা কাস্টমস আধিকারিকের নাম উল্লেখ ছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ গরু পাচারের অভিযোগ বর্তমানে ধৃত এনামুল হক এবং শেখ আব্দুল লতিফের সঙ্গে একটা যোগাযোগ ছিল কাস্টমস আধিকারিকদের। অভিযোগ এও, গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তকারীরা একাধিকবার আব্দুল লতিফ এবং এনামুল হকের সঙ্গে একাধিক কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের যোগাযোগের সূত্র পাওয়া গিয়েছে ৷ জানা গিয়েছে রাজ্যে একাধিক জায়গায় যেখানে গরু নিলাম হত সেখানে লতিফ এবং এনামুল হককে দামি গরুগুলি অনেক কম দাম দেখিয়ে তাদের হাতে তুলে দিত কাস্টমস আধিকারিকরা।
ফলে গরু পাচার কাণ্ডে অতপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছে কাস্টমস আধিকারিকরা, এমনটাই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আব্দুল লতিফ এবং এনামুল হককে দামি গরু অনেক কম দামে পাইয়ে দেওয়ার পর সেই গরুগুলি কিনে নেওয়ার পরেই বিএসএফ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাহায্যে সেগুলি পাঠিয়ে দেয়া হত বাংলাদেশ। তদন্তকারীদের আরও অনুমান, এক্ষেত্রে কাস্টমস আধিকারিকদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিএসএফ আধিকারিকরাও। দু'দিন আগে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় একাধিক কাস্টমস আধিকারিকদের বাড়িতে গিয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: কেন তলব জানেন না, ইডির মেলের প্রাপ্তি স্বীকার জেল সুপারের
সেখান থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় যে কাস্টমস অফিসগুলি রয়েছে সেখানেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। এখান থেকেই এই কাস্টমস আধিকারিক চারজন সিবিআইয়ের সিবিআইয়ের নজরে আসে। মূলত এই চারজন আধিকারিককে ডেকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা এবং তাদের বয়ান রেকর্ড করতে চান। তাদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে চান যে, গরু পাচার কাণ্ডে তাদের কী ভূমিকা ছিল?