কলকাতা, 8 নভেম্বর: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ । তবে আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন ।
এদিন মামলার শুনানিতে, আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় সৌমিত্র খাঁর পক্ষে বলেন," 2019 সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বেআইনি মামলা দেওয়া হয় ৷ বালি পাচার, গরু পাচার থেকে শুরু করে চাকরি দেওয়ার নামে করে টাকা তোলার মতো অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। 2022 সালে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের হয় ৷"
জানা গিয়েছে, 2015 সালে নিরঞ্জন ঘোষ নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে সৌমিত্র খাঁ 7 লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ । পরে 2017 সালে তিনি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে 1.5 লক্ষ টাকা ফেরতও দেন । যা পুরোটাই নগদে বিনিময় হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর সৌমিত্রের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ করা হয় 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে। কোতুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন সময় চান সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে জানাতে এবং কেস ডায়েরি আদালতে জমা করতে। এরপর বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরীর বেঞ্চ এদিন আপাতত মামলার তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। আদালতে পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার দু'সপ্তাহ পর রেগুলার বেঞ্চে শুনানি করা হবে এই মামলার।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি, বৃহস্পতিতে অভিষেককে ডাকল ইডি
এর আগে, গত 1 নভেম্বর বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে পনেরো দিনের মধ্যে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ । 2019 সালে পাত্রসায়র ও বিষ্ণুপুর থানায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বালি ও অস্ত্র মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ থেকে আগাম জামিনও নেন তিনি। যদিও সেই নির্দেশ কার্যকর না-হওয়ায়, গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই আবার নতুন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমিত্র খাঁ।