কলকাতা, 21 অক্টোবর : হঠাৎ করে কেন শিবির বদল বিমল গুরুংয়ের ? তিন বছর ফেরার থাকার পর শাসকদলের নাকের ডগায় সাংবাদিক বৈঠক করে বুঝিয়ে দিলেন সবটাই প্রশান্ত কিশোরের খেলা । মন্তব্য বাম ও কংগ্রেসের ।
সেলিম বলেন, "প্রতিবার নির্বাচন এগিয়ে এলে এমনই কিছু ঘটনা ঘটে পাহাড়ে । UAPA ধারার মামলায় অভিযুক্ত দীর্ঘদিন অজ্ঞাতবাসে থেকে হঠাৎ করে আজ কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করল, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া সম্ভব কী ?" তিনি আরও বলেন, "পাহাড়ের রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছিল । প্রশান্ত কিশোরের বুদ্ধিতে মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা বল পেয়ে বিমল গুরুংকে দিয়ে আজকের এই সাংবাদিক বৈঠক করালেন । "
এদিকে কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন,"বিমল গুরুংয়ের কথা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি মেনে নেবেন । না হলে গোর্খাল্যান্ড ইশু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে । তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-র অভ্যন্তরীণ বিষয় বিমল গুরুং । এরা কেউ শিবির বদল করেননি । শুধু ঘর বদল করেছেন । মুখ্যমন্ত্রী ভোট কিনতে যেকোনও রকম অসৎ উপায় অবলম্বন করবেন । এতে আর আশ্চর্যের কিছু নেই ।"
তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া তিন বছর পর হঠাৎ প্রকাশ্যে এলেন বিমল গুরুং । তাও আবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিমল গুরুং বেরিয়ে গেলেন । গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন বিমল গুরুংকে গ্রেপ্তার করল না । সমগ্র বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ।