কলকাতা, 22 জুলাই: আচমকা নয়াদিল্লি থেকে তলব । আর সেই ডাক আসতেই তড়িঘড়ি বঙ্গ বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা আগামিকাল রবিবারই উড়ে যাচ্ছেন রাজধানীতে। সম্ভবত সোমবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । আর সেকারণেই জরুরি ভিত্তিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা । বিজেপি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের পর রণকৌশল ঠিক করতেই রাজ্য নেতাদের এই জরুরি তলব ।
পঞ্চায়েত ভোটের পর একদিকে যেমন শুভেন্দু-সুকান্তদের পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ । তেমনই অন্যদিকে রাজ্যে ভোট হিংসার প্রকৃত ঘটনা জানতে দু'দফায় ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিমও পাঠিয়েছিল বিজেপি। যাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার হাতে রিপোর্টও তুলে দিয়েছিল । এরপরই হঠাৎ দিল্লি থেকে ডেকে পাঠানো হল রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের । বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জরুরি ভিত্তিতে তড়িঘড়ি পদ্ম শিবিরের তিন নেতা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী রবিবার রাতেই দিল্লি রওনা হচ্ছেন।
শনিবার সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরই এহেন খবর প্রকাশ্যে আসে। রাজ্যের এই তিন নেতাকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তলব করেছে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে এই তিন রাজ্যের শীর্ষ নেতার বিশেষ বৈঠক রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর। তবে এই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও দিলীপ ঘোষ ঘোষ থাকতে পারেন বলে খবর মিলেছে । কারণ হিসাবে দলের একাংশের দাবি, এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিও তিনি । সেক্ষেত্রে বৈঠকে তিনিও থাকতে পারেন ।
তবে আচমকা কেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই জরুরি তলব, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যে যে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিজেপির একাধিক কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকেই। এইসব বিষয় নিয়ে সার্বিক রিপোর্ট চাইতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এছাড়াও রাজ্য বিজেপির তরফে বারংবার রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করা হয়েছে। তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: মালদার ঘটনায় ধৃত 5, অন্য অভিযোগে গ্রেফতার দুই নির্যাতিতাও; দাবি জেলা পুলিশের
অন্যদিকে, বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী 5 অগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন। এর পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রায় সকলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচির প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন । এই বিষয়টি নিয়েও কথা হতে পারে বৈঠকে।