কলকাতা, 16 নভেম্বর: কসবায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে প্রাণে মারার চেষ্টা ৷ শুক্রবারের ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে লালবাজার ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক ট্যাক্সি চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । পাশাপাশি মহম্মদ ইকবাল নামে যুবকেরও খোঁজ চালাচ্ছে লালবাজার । গোয়েন্দাদের অনুমান, অন্য কোনও ব্যক্তি নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে মহম্মদ ইকবাল বলে অভিযুক্তদের কাছে পরিচয় দেয় । পরে বিহার থেকে আততায়ীদের কলকাতায় এনে বন্দর এলাকায় রেখেছিল সে।
এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে এক ট্যাক্সি চালককে আটক করে পুলিশ । পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার ট্যাক্সিটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । গুলি চলার ঘটনায় এই ট্যাক্সি চালক যুক্ত রয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের । জানা গিয়েছে, কাউন্সিলরকে মারতে আসা দুই দুষ্কৃতীকে বন্দর এলাকায় রাখা হয়েছিল, খাওয়ানো হয়েছিল । মাঝেমধ্যেই কসবায় গিয়ে রেইকি করেছিল অভিযুক্তরা । বন্দর এলাকার যে জায়গায় তাদের রাখা হয়েছিল সেখানে গতকাল রাতেই গিয়েছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা । বেশ কয়েকজনকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এই ট্যাক্সি চালককে আমরা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রয়োজন হলে তাকে গ্রেফতার করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।’’ তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গোটা অপারেশনে 5-6 জন যুক্ত রয়েছে । তারা বিহারের বাসিন্দা ।
শুক্রবার অ্যাক্রপলিস মলের সামনে নিজের বাড়ির কাছেই ছিলেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। এই সময়ে একটি বাইকে করে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এক যুবক নেমে এসে আচমকাই তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে । ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে যান । এক আততায়ীকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন । পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় । জানা গিয়েছে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে নাবালক । লালবাজার সূত্রের খবর, আজ সকাল থেকেই কসবা-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা ৷