কলকাতা, 20 ডিসেম্বর : মুচিপাড়া থানা এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের নাম জড়ানোর পরে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা । ক্রাইম কনফারেন্সে তিনি জানিয়েছিলেন, এমন ঘটনা বাহিনীর কেউ ঘটালে নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ । কিন্তু তারপরও 2 বাংলাদেশি নাগরিকের থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে । ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় । তদন্তে নেমে দেখা যায় অভিযোগ সত্যি । তালতলা থানার গাড়ির চালক ঘটিয়েছেন ঘটনা । সেই সূত্রে তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।
ঘটনাটি ঘটেছিল 21 নভেম্বর । বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন মোশারফ হোসেন । তিনি বাংলাদেশের গাইবান্ধার বাসিন্দা । ক্যানসার আক্রান্ত মোশারফ আত্মীয় গোলাম সাকলাইনকে নিয়ে মুম্বইয়ে গেছিলেন চিকিৎসা করাতে । 20 নভেম্বর তাঁরা মুম্বই থেকে কলকাতায় ফেরেন । সেদিন রাতে মির্জ়া গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে থাকেন । পরদিন সকালেই গেঁদে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল তাঁদের । সেই সূত্রে শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরার জন্য ট্যাক্সিতে ওঠেন । মৌলালি মোড়ের কাছে এক খাঁকি উর্দিধারী তাঁদের ট্যাক্সি থামান । জানতে চান তাঁদের পরিচয় । অভিযোগ, পরিচয় দেওয়ার পর মোশারফের সঙ্গে থাকা 27 হাজার টাকা কেড়ে নেন ওই পুলিশকর্মী । এমন কী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন পাসপোর্ট । পরে সাত হাজার টাকা এবং পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন মোশারফকে । কোনওরকমে দেশে ফেরেন তাঁরা ।
চলতি মাসে কলকাতার নগরপাল এবং গোয়েন্দা প্রধানকে ইমেল-এ নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান মোশারফ । অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ । অবিলম্বে দোষীকে চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন অনুজ শর্মা । ঘটনার তদন্ত নামে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাউডি সেকশন । খতিয়ে দেখা হয় মৌলালি চত্বরের CCTV ক্যামেরার ফুটেজ । দেখা যায় অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে । চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে । তিনি তালতলা থানার গাড়ির চালক বিশ্বনাথ বিশ্বাস । তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।