ETV Bharat / state

পাড়ার মধ্যে চালু মদের দোকান বন্ধ করতে হাইকোর্টে আবেদন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা এলাকার ঘোষালারচক গ্রাম ৷ পাড়ার মধ্যে তৈরি হয়েছিল একটি বিদেশি মদের দোকান ৷ অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন মত্ত যুবক করে এলাকায় হুজ্জুতি করে ৷ মহিলাদের কটূক্তি করে ৷ প্রতিবাদ করতে গেলে জোটে বেধড়ক মারধর ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 8:16 PM IST

কলকাতা 24 অগাস্ট: বাড়ির পাশেই বিদেশি মদের দোকান ৷ সকাল বা সন্ধ্যে সব সময় দোকানের বাইরে লাইন লেগেই থাকে ৷ চলে মদ বিক্রি ৷ লেগে থাকে অশান্তিও৷ আর তাই বিষয়টা ভালো চোখে নেননি পাড়ার কেউই ৷ দোকান তুলে দিতে পুলিশ-প্রশাসনের দরজায় কড়াও নেড়েছিলেন তাঁরা ৷ যদিও প্রতি ক্ষেত্রেই ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে৷ সরকারের অনুমতিতেই দোকানটি চালু হয়েছে, এই যুক্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি । এবার তাই বাধ্য হয়েই হাইকোর্টে আবেদন জানালেন এলাকার এক বাসিন্দা ৷

ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা এলাকার ঘোষালারচক গ্রাম ৷ পাড়ার মধ্যে তৈরি হয়েছিল একটি বিদেশি মদের দোকান ৷ অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন মত্ত যুবক করে এলাকায় হুজ্জুতি করে ৷ মহিলাদের কটূক্তি করে ৷ প্রতিবাদ করতে গেলে জোটে বেধড়ক মারধর ৷ স্থানীয় থানায় অভিযোগের পর জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জানান ৷ অভিযোগ, গত মাসের 29 তারিখ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি । রমরমিয়েই চলছে ওই দোকান ৷ তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঘোষালারচক গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস সাপুই ৷ অবিলম্বে ওই মদের দোকানটি বন্ধ করার আবেদন তাঁর৷ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে । আগামী শুক্রবার হতে পারে মামলার শুনানি ৷

প্রভাসবাবু জানিয়েছেন, বাড়ির পাশেই রয়েছে তিনটি মন্দির (পঞ্চানন, শিব ও কালী) ৷ দোকানটির কাছাকাছি ছোটোদের একটা স্কুলও আছে । অভিযোগকারীর দাবি, দোকানটি এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে ৷ গ্রামের মহিলারা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছেন না । এই সমস্যা নিয়ে প্রভাসবাবু ও গ্রামের অন্যান্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান ৷ এক সময় দোকানে তালাও লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা ৷ যদিও সেই তালা খুলে ফের চালু হয় দোকান ৷ এর পরই দোকান বন্ধ করার দাবিতে বকুলতলা মেন রোড অবরোধ করেন স্থানীয় ৷

মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "আইন অনুযায়ী মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার আগে স্থানীয় জনমত যাচাই করতে হয় । জনমত যদি বিরুদ্ধে যায় তাহলে লাইসেন্স দেওয়া যায় না । এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জেলা শাসকের । কিন্তু, জনমতের তালিকা তৈরি না করে, বক্তব্য না শুনে ওই মদের দোকানের অনুমোদন কী করে দেওয়া হল?

কিছু দিন আগেই প্রায় একই রকম একটি মামলায় হাইকোর্ট মদের দোকানের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল । কারণ 100 জন গ্রামবাসী লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন তাঁরা চান না গ্রামে মদের দোকান চলুক ৷ এ ক্ষেত্রেও গ্রামবাসীরা চাইছেন ওই মদের দোকানটি বন্ধ হোক৷"

কলকাতা 24 অগাস্ট: বাড়ির পাশেই বিদেশি মদের দোকান ৷ সকাল বা সন্ধ্যে সব সময় দোকানের বাইরে লাইন লেগেই থাকে ৷ চলে মদ বিক্রি ৷ লেগে থাকে অশান্তিও৷ আর তাই বিষয়টা ভালো চোখে নেননি পাড়ার কেউই ৷ দোকান তুলে দিতে পুলিশ-প্রশাসনের দরজায় কড়াও নেড়েছিলেন তাঁরা ৷ যদিও প্রতি ক্ষেত্রেই ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে৷ সরকারের অনুমতিতেই দোকানটি চালু হয়েছে, এই যুক্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি । এবার তাই বাধ্য হয়েই হাইকোর্টে আবেদন জানালেন এলাকার এক বাসিন্দা ৷

ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা এলাকার ঘোষালারচক গ্রাম ৷ পাড়ার মধ্যে তৈরি হয়েছিল একটি বিদেশি মদের দোকান ৷ অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন মত্ত যুবক করে এলাকায় হুজ্জুতি করে ৷ মহিলাদের কটূক্তি করে ৷ প্রতিবাদ করতে গেলে জোটে বেধড়ক মারধর ৷ স্থানীয় থানায় অভিযোগের পর জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জানান ৷ অভিযোগ, গত মাসের 29 তারিখ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি । রমরমিয়েই চলছে ওই দোকান ৷ তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঘোষালারচক গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস সাপুই ৷ অবিলম্বে ওই মদের দোকানটি বন্ধ করার আবেদন তাঁর৷ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে । আগামী শুক্রবার হতে পারে মামলার শুনানি ৷

প্রভাসবাবু জানিয়েছেন, বাড়ির পাশেই রয়েছে তিনটি মন্দির (পঞ্চানন, শিব ও কালী) ৷ দোকানটির কাছাকাছি ছোটোদের একটা স্কুলও আছে । অভিযোগকারীর দাবি, দোকানটি এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে ৷ গ্রামের মহিলারা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছেন না । এই সমস্যা নিয়ে প্রভাসবাবু ও গ্রামের অন্যান্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান ৷ এক সময় দোকানে তালাও লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা ৷ যদিও সেই তালা খুলে ফের চালু হয় দোকান ৷ এর পরই দোকান বন্ধ করার দাবিতে বকুলতলা মেন রোড অবরোধ করেন স্থানীয় ৷

মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "আইন অনুযায়ী মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার আগে স্থানীয় জনমত যাচাই করতে হয় । জনমত যদি বিরুদ্ধে যায় তাহলে লাইসেন্স দেওয়া যায় না । এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জেলা শাসকের । কিন্তু, জনমতের তালিকা তৈরি না করে, বক্তব্য না শুনে ওই মদের দোকানের অনুমোদন কী করে দেওয়া হল?

কিছু দিন আগেই প্রায় একই রকম একটি মামলায় হাইকোর্ট মদের দোকানের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল । কারণ 100 জন গ্রামবাসী লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন তাঁরা চান না গ্রামে মদের দোকান চলুক ৷ এ ক্ষেত্রেও গ্রামবাসীরা চাইছেন ওই মদের দোকানটি বন্ধ হোক৷"

Intro:গ্রামের ভিতরে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ব্যাক্তি Body:
মানস নস্কর---

গ্রামের ভিতরে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ব্যাক্তি

কলকাতা ২৪ অগাস্ট ঃ
আবারও গ্রামের ভিতরে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যাক্তি।অবিলম্বে দোকানের লাইসেন্স বাতিল করুক পুলিশ ও প্রশাসন দাবিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিংগল বেঞ্চে মামলা দায়ের করলেন।আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বকুলতলা থানা এলাকার দারা ঘোষালারচক গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস সাপুই।প্রভাস বাবুর অভিযোগ সরকারের অনুমতিতেই তার বাড়ির পাশেই চালু হয়েছে একটি বিদেশি মদের দোকান। কিন্তু বাড়ির পাশেই রয়েছে তিনটি মন্দির(পঞ্চানন, শিব ও কালী) ও এক হাজার ফুটের মধ্যেই রয়েছে একটি শিশুদের স্কুল।দোকানটি এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে, এবং এর জন্য গ্রামের মহিলারা চলাফেরা করতে পারছেন না।এই সমস্যার কথা প্রভাস বাবু ও গ্রামের অন্যান্য লোকজন স্থানীয় থানায় ও বারুইপুর এক্সাইজ দপ্তরে গিয়ে জানান।এরপর ২২ জুলাই ক্ষুব্ধ জনগণ মদের দোকানে তালা লাগিয়ে দেন ও বকুলতলা মেন রোড অবরোধ করে অবিলম্বে মদের দোকান বন্ধের দাবি জানান।ফলে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন আসেন। তারা আশ্বাস দেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার। কিন্ত কয়েকদিন পর দেখা যায় পুনরায় মদের দোকানটি আবার খোলা হয়েছে।

এরপর কিছু যুবক মদ্যপান করে গ্রামের মহিলাদের উদ্দেশ্য কটুক্তি করায় তার প্রতিবাদ করতেই প্রভাস বাবুকে ধরে বেধড়ক মারধর করে ঐ যুবকেরা।প্রতিকার চেয়ে ডিস্ট্রিক্ট কলেকটার ও সুপার ইনটেনডেন্ট অফ পুলিশকে ২৯/৭/১৯ লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। কিন্ত কোনো ব্যাবস্থাই নেওয়া হয়নি।শেষে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী জানালেন, "আইনে বলা আছে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার আগে স্থানীয় জনমত যাচাই করতে হবে।জনমত যদি বিরুদ্ধে যায় তাহলে লাইসেন্স দেওয়া যায় না।কারন আখেরে তাতে সরকারেরই লস হবে।এটা দেখার দায়িত্ব ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের। কিন্ত কোনো জনমতের তালিকা তৈরি না করে, জনগণের বক্তব্য না শুনে একটা মদের দোকানের লাইসেন্স কি করে দেওয়া হলো?কিছুদিন আগেই প্রায় একই রকম একটি মামলায় হাইকোর্ট মদের দোকানের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। কারন ১০০ জন গ্রামবাসী লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন তারা তাদের গ্রামে মদের দোকান চলুক চান না।এখানেও জনগন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা মনেপ্রাণে চাইছেন অবিলম্বে মদের দোকানটি বন্ধ করা হোক।"Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.