কলকাতা, 24 মার্চ : কলকাতার নামকরা গয়নার দোকান । সেখানে গয়না সরবরাহের কাজ করেন সোনারপুরের তেঁতুলবেড়িয়ার এক ব্যক্তি । ওই দোকানে প্রস্তুত গয়না দিতে আসার পথে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো বাস স্ট্যান্ড থেকে উধাও হয়ে যায় তাঁর ব্যাগ । সেই ব্যাগে ছিল 400টি আংটি । যার বাজার মূল্য 55 লাখ টাকা । ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে 20 লাখের সোনা ।
10 জানুয়ারি সোনারপুরের তেঁতুলবেড়িয়া থেকে কলকাতার দোকানে গয়না সরবরাহ করতে আসছিলেন 65 বছরের সুভাষ চন্দ্র রায় । সকাল 10টা নাগাদ তিনি গড়িয়া থেকে মেট্রোতে চড়ে রবীন্দ্র সদনে নামেন । সেখান থেকে বাসে যান নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো । সকাল 11 টা থেকে দুপুর সাড়ে 12টার মধ্যে তাঁর ব্যাগ উধাওয়ের ঘটনা ঘটে । ব্যাগের মধ্যে 200 টি প্রাপ্তবয়স্কদের ও 200টি শিশুদের সোনার আংটি ছিল । যার মোট ওজন ছিল 1.3 কেজি । তড়িঘড়ি তিনি অভিযোগ দায়ের করেন পার্কস্ট্রিট থানায় । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ ।
সুভাষবাবুর সন্দেহ ছিল, তাঁকে ফলো করে পরিকল্পনামাফিক এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে । রবীন্দ্র সদন থেকে নোনাপুকুর যাওয়ার সময় বাসে 5-6 জন যুবক তাঁর আশপাশে সন্দেহজনকভাবে বসে এবং দাঁড়িয়েছিল । ঘটনার তদন্তে নেমে CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ । চিহ্নিত করা হয় ওই যুবকদের । কিন্তু তাদের খোঁজ পাচ্ছিল না পার্কস্ট্রিট থানা । এরপর হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স কাজে লাগায় গোয়েন্দারা । গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহম্মদ রাজু, নওশাদ খান, মহম্মদ ওসমান ওরফে পাপ্পু, হিরু রানা, বজরঙ্গি সাউ ওরফে ডোমা এবং শেখ লালবাবুকে । তারা মল্লিকপুর এবং তপসিয়া এলাকার বাসিন্দা । সুভাষবাবুর সন্দেহ সঠিক বলে প্রমাণিত হয় । রীতিমতো খোঁজখবর নিয়ে তাঁকে ফলো করে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয় । পুলিশের তরফে জানানো হয়, সেই চুরির কথা স্বীকার করে নিয়েছে ওই ছয়জন । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে 110টি আংটি এবং দু'টি সোনার বার । যার মোট বাজার মূল্য 20 লাখ টাকা। বাকি আংটির রিসিভারের খোঁজ চলছে ।