কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি : প্রায় ২০ কেজি সোনার বিস্কিট উদ্ধার হল বড়বাজারে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট। ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।
শহরে বেড়ে চলেছে সোনা স্মাগলিংয়ের ঘটনা। বর্ডার, এয়ারপোর্টসহ একাধিক জায়গা থেকে একের পর এক সোনা স্মাগলিংয়ের ঘটনা সামনে আসছে। গতবছরও DRI এবং কলকাতা পুলিশ বড়বাজার থেকে বেশকিছু সোনার বিস্কিট উদ্ধার করেছিল। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।
গতবছর ডিসেম্বরে DRI-এর তদন্তকারীরা খবর পান, শিলিগুড়ি হয়ে প্রচুর সোনা কলকাতায় আনা হচ্ছে। সেইমতো ফাঁদ পাতা হয়। পরশু রাতে ডানকুনি টোলপ্লাজাতে থামানো হয় সোনাপাচারের গাড়িটি। উদ্ধার হয় ৩৩ কেজি সোনা। শিলিগুড়ির বাসিন্দা রাকেশ প্রসাদ ও বিহারের হেম প্রসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া সোনা বড়বাজারে আনা হচ্ছিল। এরপর থেকে প্রতিমুহূর্তে বড়বাজারে নজর রাখতে শুরু করে কাস্টমস, DRI এবং কলকাতা পুলিশ। সেই সূত্রেই এই সোনার খবর পান কাস্টমস অফিসাররা।
কাস্টমস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ২০ কেজি সোনার বিস্কিট বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। যার এক একটির ওজন ১১৬ গ্রাম। সেগুলোকে গলিয়ে এক কেজির সোনার বার তৈরি করা হচ্ছিল। তারপর তা পাচার করে দেওয়া হত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কাস্টমস মনে করছে, এই চক্রের পিছনে রয়েছে কোনও বড় মাথা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।