ETV Bharat / state

প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন লিপিকা; আঘাত দেব না, প্রতিজ্ঞা অনন্তর - dupguri lover

ধরনা দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন ভালোবাসার জয় । আর বিয়ের পর অনন্তর প্রতিজ্ঞা, কোনও দিন আঘাত দেব না লিপিকাকে ।

অনন্ত-লিপিকা
author img

By

Published : Jun 4, 2019, 11:24 PM IST

Updated : Jun 5, 2019, 12:06 AM IST

ধুপগুড়ি, 4 জুন : চাকরীজীবী নয়, প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন ধুপগুড়ির লিপিকা । এদিকে প্রেমিক সবজি ব্যবসায়ী । তাই আট বছরের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ইতি টেনেছিলেন । কিন্তু, হার স্বীকার করেননি প্রেমিক । ধরনা দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন ভালোবাসার জয় । আর বিয়ের পর তাঁর প্রতিজ্ঞা, কোনও দিন আঘাত দেব না ।

মঙ্গলবারের সকালটা তাঁদের জীবনের সেরা দিন। এই সকালটাই তো দেখতে চেয়েছিলেন অনন্ত-লিপিকা। একসাথে বাঁচার যে স্বপ্ন 8 বছর ধরে লালন করেছিলেন তাঁরা , তা যেন পূর্ণতা পায়। হঠাৎই পরিবারের চাপ কালবৈশাখির মত ডুবিয়ে দিতে চেযেছিল তাঁদের ভালোবাসার পানসি। হাল ছাড়েননি অনন্ত। ভালোবাসায় ভরসা রেখে উত্তাল নদী পেরিয়ে ছিনিয়ে এনেছে পূর্ণতা। আজ লিপিকা ও অনন্ত স্বামী -স্ত্রী।

নতুন জীবনের প্রথম প্রভাতে অনন্তর উপলব্ধি, "এই মুহূর্তে জীবনে সবচেয়ে শান্তি এসেছে । সবাই ভেবেছিল, আমি ওকে পাব না । কিন্তু, আমার মনে বিশ্বাস ছিল, যে আমি ওকে পাবই । আমার ইচ্ছা ছিল, দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েটা হোক । ধরনায় বসতে হবে, এটা কোনওদিন ভাবিনি । আমার ভালোবাসার সত্যতা ছিল বলেই লিপিকাকে পেয়েছি। "

ভিডিয়োয় শুনুন অনন্ত-লিপিকার বক্তব্য

সংবাদমাধ্যমে অনন্ত-লিপিকার বিয়ের খবর পড়ে আজ অনেক অচেনা ব্যক্তিও আসেন তাঁদের বাড়িতে । কেউ কেউ ফুল-মিষ্টি নিয়ে হাজির হন । নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন ।

আর সবার আশীর্বাদ পেয়ে খুশি নবদম্পতিও । লিপিকা বলেন, তিনি সরকারি চাকুরে নয় । প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন । আর আজ অনন্ত বলেন, "আমি লিপিকার জন্য যেকোনও কাজ করব । ওকে ভালো রাখব । কোনও কাজে লিপিকা যাতে আঘাত না পায় তা খেয়াল রাখব ।"

ধুপগুড়ি, 4 জুন : চাকরীজীবী নয়, প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন ধুপগুড়ির লিপিকা । এদিকে প্রেমিক সবজি ব্যবসায়ী । তাই আট বছরের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ইতি টেনেছিলেন । কিন্তু, হার স্বীকার করেননি প্রেমিক । ধরনা দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন ভালোবাসার জয় । আর বিয়ের পর তাঁর প্রতিজ্ঞা, কোনও দিন আঘাত দেব না ।

মঙ্গলবারের সকালটা তাঁদের জীবনের সেরা দিন। এই সকালটাই তো দেখতে চেয়েছিলেন অনন্ত-লিপিকা। একসাথে বাঁচার যে স্বপ্ন 8 বছর ধরে লালন করেছিলেন তাঁরা , তা যেন পূর্ণতা পায়। হঠাৎই পরিবারের চাপ কালবৈশাখির মত ডুবিয়ে দিতে চেযেছিল তাঁদের ভালোবাসার পানসি। হাল ছাড়েননি অনন্ত। ভালোবাসায় ভরসা রেখে উত্তাল নদী পেরিয়ে ছিনিয়ে এনেছে পূর্ণতা। আজ লিপিকা ও অনন্ত স্বামী -স্ত্রী।

নতুন জীবনের প্রথম প্রভাতে অনন্তর উপলব্ধি, "এই মুহূর্তে জীবনে সবচেয়ে শান্তি এসেছে । সবাই ভেবেছিল, আমি ওকে পাব না । কিন্তু, আমার মনে বিশ্বাস ছিল, যে আমি ওকে পাবই । আমার ইচ্ছা ছিল, দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েটা হোক । ধরনায় বসতে হবে, এটা কোনওদিন ভাবিনি । আমার ভালোবাসার সত্যতা ছিল বলেই লিপিকাকে পেয়েছি। "

ভিডিয়োয় শুনুন অনন্ত-লিপিকার বক্তব্য

সংবাদমাধ্যমে অনন্ত-লিপিকার বিয়ের খবর পড়ে আজ অনেক অচেনা ব্যক্তিও আসেন তাঁদের বাড়িতে । কেউ কেউ ফুল-মিষ্টি নিয়ে হাজির হন । নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন ।

আর সবার আশীর্বাদ পেয়ে খুশি নবদম্পতিও । লিপিকা বলেন, তিনি সরকারি চাকুরে নয় । প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন । আর আজ অনন্ত বলেন, "আমি লিপিকার জন্য যেকোনও কাজ করব । ওকে ভালো রাখব । কোনও কাজে লিপিকা যাতে আঘাত না পায় তা খেয়াল রাখব ।"

Intro:Body:ভিন রাজ্য এবং জেলা থেকে আসছে শুভেচ্ছা,ফুল মিষ্টি।ধূপগুড়ির প্রেমের রোমিও অনন্ত বর্মন রবিবার বিকালে ধুপগুড়ি পুরসভার চাকলাপাড়া এলাকায় নিজের ভালোবাসা ফিরে চেয়ে ধর্নায় বসে ভালোবাসাকে ফিরে পেয়ে আজ হিরো। সোমবার রাতে অনন্তর প্রেমিকা লিপিকার বিয়েতে সন্মতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনন্ত বাড়িতে ভিড় জমায় ভিন রাজ্য এবং ভিন জেলার মানুষেরা।
ফুলের তোড়া আবার কেউ মিষ্টির হাড়ি নিয়ে শুভেচ্ছা দিতে হাজির হন মানুষ। আলিপুরদুয়ার এবং অসম, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি এবং কোঁঁচবিহার থেকে লোকজন শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। ভালোবাসার জয় দেখে খুব ভালো লাগছে বলে দেখা করতে আসা অনেকেরই দাবি।
কোচবিহারের বাসিন্দা গোপাল সরকার বলেন, ভালো বাসার জয়। ভালোবাসা যদি মানুষের সৃষ্টি হত তাহলে ধর্না মঞ্চেই শেষ হয়ে যেত।ভালোবাসা ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর ভালোবাসার পরীক্ষা হয়েছে।অনন্ত মেয়েটিকে খুব ভালোবাসে এবং খুব ভালো রাখবে।
এদিকে অনন্তর কথায় মানুষ আমাকে দেখতে আসছে। আমাদের ভালোবাসার জন্য আসছে। আমি লিপিকার জন্য যেকোনো কাজ করব,ভালো রাখব।তবে কোনো কাজে লিপিকা যাতে আঘাত না পায় তা খেয়াল রাখব বলে জানায় অনন্ত।সকাল থেকে লিপিকার দিনের শুরুতে একটু মানসিক চাপ ছিল।বাপের বাড়ির অবস্থা নিয়ে চিন্তায় ছিল।তবে ধীরে স্বাভাবিক হয়।Conclusion:
Last Updated : Jun 5, 2019, 12:06 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.