ধুপগুড়ি, 4 জুন : চাকরীজীবী নয়, প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন ধুপগুড়ির লিপিকা । এদিকে প্রেমিক সবজি ব্যবসায়ী । তাই আট বছরের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ইতি টেনেছিলেন । কিন্তু, হার স্বীকার করেননি প্রেমিক । ধরনা দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন ভালোবাসার জয় । আর বিয়ের পর তাঁর প্রতিজ্ঞা, কোনও দিন আঘাত দেব না ।
মঙ্গলবারের সকালটা তাঁদের জীবনের সেরা দিন। এই সকালটাই তো দেখতে চেয়েছিলেন অনন্ত-লিপিকা। একসাথে বাঁচার যে স্বপ্ন 8 বছর ধরে লালন করেছিলেন তাঁরা , তা যেন পূর্ণতা পায়। হঠাৎই পরিবারের চাপ কালবৈশাখির মত ডুবিয়ে দিতে চেযেছিল তাঁদের ভালোবাসার পানসি। হাল ছাড়েননি অনন্ত। ভালোবাসায় ভরসা রেখে উত্তাল নদী পেরিয়ে ছিনিয়ে এনেছে পূর্ণতা। আজ লিপিকা ও অনন্ত স্বামী -স্ত্রী।
নতুন জীবনের প্রথম প্রভাতে অনন্তর উপলব্ধি, "এই মুহূর্তে জীবনে সবচেয়ে শান্তি এসেছে । সবাই ভেবেছিল, আমি ওকে পাব না । কিন্তু, আমার মনে বিশ্বাস ছিল, যে আমি ওকে পাবই । আমার ইচ্ছা ছিল, দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েটা হোক । ধরনায় বসতে হবে, এটা কোনওদিন ভাবিনি । আমার ভালোবাসার সত্যতা ছিল বলেই লিপিকাকে পেয়েছি। "
সংবাদমাধ্যমে অনন্ত-লিপিকার বিয়ের খবর পড়ে আজ অনেক অচেনা ব্যক্তিও আসেন তাঁদের বাড়িতে । কেউ কেউ ফুল-মিষ্টি নিয়ে হাজির হন । নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন ।
আর সবার আশীর্বাদ পেয়ে খুশি নবদম্পতিও । লিপিকা বলেন, তিনি সরকারি চাকুরে নয় । প্রতিষ্ঠিত পাত্র চেয়েছিলেন । আর আজ অনন্ত বলেন, "আমি লিপিকার জন্য যেকোনও কাজ করব । ওকে ভালো রাখব । কোনও কাজে লিপিকা যাতে আঘাত না পায় তা খেয়াল রাখব ।"