জলপাইগুড়ি, 17 অক্টোবর: মাল নদীতে (Mal River) ভাসান বিপর্যয়ের (Jalpaiguri Immersion Accident) জেরে টনক নড়ল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের (Jalpaiguri District Police) ৷ খরস্রোতা মূর্তি নদীতে (Murti River) নামার উপর জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা (Prohibition) ৷ ইতিমধ্যেই মূর্তি নদীর তীরে জেলা পুলিশের তরফে এই নিয়ে একটি বোর্ড লাগানো হয়েছে ৷ তাতে যথাক্রম হিন্দি, বাংলা এবং ইংরেজিতে বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, পাহাড়ি এই নদীতে নামা নিষিদ্ধ ৷ যদিও বাংলা সতর্কবার্তায় একাধিক বানান বিভ্রাটও নজরে এসেছে !
গত 5 অক্টোবর ছিল বিজয়া দশমী ৷ ওই দিনই প্রথা মেনে মালবাজারের মাল নদীতে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের প্রক্রিয়া চলছিল ৷ সেই সময় হঠাৎই নদীতে হড়পা বান আসে ৷ ভেসে যান প্রায় 30 জন ৷ তাঁদের মধ্যে বাকিদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রাণ যায় আটজনের ৷ এই ঘটনায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসন দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া হলেও তাতে সমালোচনা ঠেকানো যায়নি ৷ বর্ষার মরশুমে কেন এত মানুষকে নদীতে নামতে দেওয়া হল, কেন সেখানে বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হল এবং কেনই বা বাঁধ দিয়ে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আটকানো হল, এমন অনেক প্রশ্ন উঠেছে ৷ যার কোনও উত্তর প্রশাসনের তরফে মেলেনি ৷
আরও পড়ুন: গত 20 বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি ! সাফাই দিলেন পুলিশ সুপার
এদিকে, মূর্তি নদী এবং সংলগ্ন এলাকা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ৷ বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা এখানে যেমন বেড়াতে আসেন, তেমনই স্থানীয় বাসিন্দারা শীতের মরশুমে এখানে চড়ুইভাতিতেও মজেন ৷ নদীতে নেমে হুল্লোড়, সেলফি তোলা, সবই চলে ৷ এমন সময় মাল নদীর মতো মূর্তিতেও হড়পা বান এলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটতে পারে ৷ ঘটতে পারে মাল নদীর দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ৷ তা এড়াতেই এবার আগেভাগে সতর্ক হল পুলিশ প্রশাসন ৷ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা ৷
এদিকে, সেই সতর্কবার্তা পড়ে বিরক্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ কারণ, পুলিশের তরফে জারি সতর্কতায় বাংলা বানানে রয়েছে ভুল ! কীভাবে তা কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী ৷ একইসঙ্গে, তাঁদের বক্তব্য, শুধুমাত্র বোর্ডের সতর্কবার্তা লিখে দায় সারলেই হবে না ৷ অনেক পর্যটকই এমন সতর্কবার্তার তোয়াক্কা করেন না ৷ আইন ভেঙেই আনন্দ পান তাঁরা ! এর ফলে নিজেদের তো বটেই বিপদে ফেলেন অন্যদেরও ৷ এমন পর্যটকদের সামাল দিতে তাই পুলিশের নিয়মিত নজরদারির পক্ষেও সওয়াল করেছেন বাসিন্দারা ৷