জলপাইগুড়ি, 16 মে : শিল্পতালুকে ব্যক্তিগত স্বার্থে শ্রমিক সংগঠনের বাইরের নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়ছে । এতে গোষ্ঠীকোন্দল বাড়ছে (Jalpaiguri INTUC Inner Clash) । জেলা সভাপতিকে পাশে বসিয়ে এমনই বক্তব্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতির । শিল্পতালুকে শ্রমিক সংগঠনের বাইরের নেতাদের বরদাস্ত করা হবে না । কাঁঠাল দেখিয়ে আমের ব্যবসা হচ্ছে । এমনই মন্তব্য করলেন শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার ।
তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা সদর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিতাই কর বলেন, "আমি 2014-2019 সাল পর্যন্ত ব্লক সভাপতি থাকাকালীন শিল্পতালুকে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল করতে দিইনি । কিন্তু এখন দেখছি এ আমার লোক ও তার লোক করে গোষ্ঠীকোন্দল করা হচ্ছে । শিল্পতালুকে সবাই মাথা ঘামাচ্ছে । দলকে ভালোবাসলে এটা কেউ করতে পারে না । এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে । দল যাকে দায়িত্ব দেবে সেই সেখানে কাজ করবে । দলের কোনও প্রচার নেই, শুধু কে কার টিম সেটা নিয়েই মেতে আছে । এটা কেন হবে । এসব বন্ধ হওয়া উচিৎ । তাই আমি আজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছি । দল আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় । কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যক্তি স্বার্থে কেউ কেউ গ্রুপ বানাচ্ছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে বরদাস্ত করব না । আমি দলকেও বিষয়টি জানিয়েছি ।"
আরও পড়ুন : Firahad Slams Suvendu : শুভেন্দুও কি মানসিক অবসাদে ভুগছেন ! প্রশ্ন তুললেন ফিরহাদ
আইএনটিইউসি (Indian National Trade Union Congress) অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর স্থায়ী শ্রমিক ফেডারেশনের উত্তরবঙ্গ শাখার সম্মেলন মঞ্চে আইএনটিইউসি-র রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কারও নাম না করেই দলের শাখা সংগঠনের নেতার বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিতাই কর । সম্প্রতি রানিনগর শিল্পতালুকের একটি কারখানায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের সঙ্গে আইএনটিইউসি-র নেতাকর্মীদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে । নিতাই কর এদিন নাম না করে কৃষ্ণ দাসকেই নিশানা করেছেন বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের একাংশের ।
নিতাই করের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে রাজেশ লাকড়া বলেন, "শিল্পতালুকে কেবল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনই চলবে । কোনও নেতা তাঁর ব্যক্তিগতভাবে রাজত্ব করার জন্য পতাকা লাগাবে সেই দিন শেষ । শিল্পতালুকে ইউনিয়নের পতাকাই থাকবে । এখানে নিজের পতাকা উড়বে না । আমি 22 তারিখের অপেক্ষায় আছি । এরপর কমিটি ঘোষণা হবে । এরপর কড়া পদক্ষেপ নেব । হলদিয়া সেক্টরে মাফিয়ারাজ ছিল, কন্ট্রাক্টরদের দাপট ছিল । সেটা আমরা গুড়িয়ে দিয়েছি । আর জলপাইগুড়ি রানিনগরের শিল্পতালুককেও আমরা বুঝে নেব । ব্যবস্থা আইনগত ও দলগত ভাবেও নেওয়া হচ্ছে ।"
কৃষ্ণ দাস বলেন, "কে কী বললেন তাতে আমার কিছুই যায় আসে না । আমি ওসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না । দলের সৈনিক হিসেবে দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করে যাব ।"