কলকাতা, 9 নভেম্বর: আধঘণ্টার মধ্যে দু’দুটো লাল কার্ড ৷ বাকি একঘণ্টা ন’জনে খেলল ইস্টবেঙ্গল । লাল-হলুদের এদিন দু’দুটো লাল কার্ড দেখার ব্যবধান মাত্র 36 সেকেন্ড । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বির আবহে এই ছবি গত 50 বছরে নেই । আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল বনাম মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দ্বৈরথ শনিবারের সন্ধ্যায় তাই বিতর্কিত এবং স্মরণীয় ।
28 মিনিটে অমরজিৎ সিংকে ঘুষি মারেন নন্দকুমার । রেফারি হরিশ কুণ্ডু লাল কার্ড দেখান । পরের মিনিটেই সেন্টার সার্কেলে চতুর্থ রেফারির সামনে জলের বোতলে লাথি মারলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন মহেশ । প্রাক্তনীরা বলছেন, একটি হলুদ কার্ড দেখে বসে থাকা খেলোয়াড়ের এহেন আচরণে তাঁকে অবিলম্বে কড়া শাস্তি কিংবা আর্থিক জরিমানা করা উচিৎ ৷ প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ 9 জনে খেলছে দেখেও মহমেডান স্পোর্টিং গোলের মুখ খুলতে পারেনি ।
9-men @eastbengal_fc hold @MohammedanSC to a draw in the #KolkataDerby! 👊🙌#EBFCMSC #ISL #LetsFootball #KolkataDerby #EastBengalFC #MohammedanSC | @JioCinema @Sports18 pic.twitter.com/SV7BYaTSNM
— Indian Super League (@IndSuperLeague) November 9, 2024
এই ডার্বি দু'দলের কাছেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিল । হাফডজন হারের পর ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে পয়েন্টের খাতা খুললো ইস্টবেঙ্গল ৷ মহমেডানও চাইছিল টানা চার ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে জয়ের সরণিতে ফিরতে । যদিও 9 জনের দলের বিরুদ্ধে গোলমুখ না-খুলতে পারা আরও লজ্জার ৷ ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার বলেন, ‘‘রেফারিং নিয়ে চক্রান্ত চলছে আমাদের বিরুদ্ধে । ভালো রেফারিং হলে কী হয় তা এএফসিতে দেখা গিয়েছে ।’’ অন্যদিকে কামারউদ্দিন বলেন, ‘‘অস্কার ব্রুঁজোর স্ট্র্যাটেজির কাছে আটকে গেলাম । কোচ কী করবে । ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা ।’’