জলপাইগুড়ি, 10 মার্চ : ফের সাফল্য় পেলেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানের নর্থ রেঞ্জ ও সাউথ রেঞ্জের বনকর্মীরা ৷ হরিণের চামড়া কেনাবেচা ও মাংস খেতে গিয়ে ধরা পড়ল মোট চারজন (4 persen arrested with deer meat)। বৃহস্পতিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের এডিএফও জন্মেঞ্জয় পাল বলেন, "আমাদের কাছে খবর ছিল হরিণের চামড়া কেনাবেচা হবে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী, বিট অফিসার জীবন বিশ্বকর্মার নেতৃত্বে ঝালং বিন্দু রোড চামড়ামারি রেলগেট এলাকা থেকে বার্কিং ডিয়ারের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে দেড় ফুটের হরিণের চামড়া, একটি স্কুটি।" ধৃতদের বাড়ি কালিম্পং জেলার জলঢাকা থানার অন্তর্গত কুমাই এলাকায়। ধৃতদের নাম অজয় ওঁরাও, রাজকুমার রাই।
আরও পড়ুন : লকডাউনের মধ্যে জলপাইগুড়িতে হরিণ উদ্ধার
অন্যদিকে, সম্বর হরিণ মেরে মাংস খেতে গিয়ে গ্রেফতার হল দু‘জন। উদ্ধার হয়েছে ১৪ কেজি সম্বরের মাংস। জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মেটেলি ব্লকের সাউথ ইংডং বস্তি থেকে সম্বরের রান্না করা মাংস সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল গরুমারা নর্থ রেঞ্জের বনকর্মীরা ৷ ধৃতদের নাম চোমে ওঁরাও ও রান্থু ওঁরাও। এদের বাড়ি থেকে মাংস বণ্টন করা হচ্ছিল (4 persen arrested with deer meat)।
গরুমারা নর্থ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে বলেন, "গোপন সুত্রে খবর পেয়ে আমরা সম্বরের মাংস সহ দু‘জনকে গ্রেফতার করেছি। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের মুর্তি এলাকা থেকে সম্বর মেরে নিয়ে যায় ইংডং এলাকায়। সেখানেই রান্থু ওঁরাও-এর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪ কেজি মাংস। তার মধ্যে ১০ কেজি মাংস অর্ধেক রান্না করা ছিল। চোমে ওঁরাও ও রান্থু ওঁরাওকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে ৷ জাতীয় উদ্যানে জোরদার নজরদারি চালানো হচ্ছে।"