জলপাইগুড়ি, 5 সেপ্টেম্বর: ধূপগুড়িতে চা বাগানের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোট দিলেন চা বলয়ের প্রথম ভোটাররা ৷ এই বিধানসভায় বেশ কয়েকটি চা বাগান রয়েছে । চা বাগানের শ্রমিকরা উৎসবের মেজাজে এ দিন ভোট দেন । দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ভোট দিতেও দেখা গিয়েছে তরুণ ভোটারদের ৷ ভোটকেন্দ্রে হাতির হানা রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে ।
সকাল থেকে চা বাগানে ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়ে । বানারহাটের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানের কলেজ ছাত্রী সাক্ষী ওড়াও এ বার প্রথম বিধানসভা নির্বাচনের ভোট দিলেন । তিনি বলেন,
"ভোট আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার । কে জিতবে সেটা পরের বিষয় । আমরা চাই চা বাগানের রাস্তা, পানীয় জল ৷ বাগানের মানুষের সব রকমের উন্নয়ন হোক এটাই চাই । যেই জিতুক, চা বাগানের মানুষের উন্নয়নে কাজ করুক ।"
চা বাগানের শ্রমিকরা এ দিন উৎসাহের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলিতে হাজির ছিলেন ৷ কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি ৷ সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়েছে । ধূপগুড়ি বিধানসভার বিন্নাগুড়ি, বানারহাটে বেশ কয়েকটি বনবস্তি এলাকায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকার কারণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: কোথাও বিকল ইভিএম, কোথাও নিশানায় বিজেপি; 3টে পর্যন্ত ভোট পড়ল 63.45%
বনদফতর সূত্রে খবর, ডায়না, রেতি, গধেয়ারকুটি, মোরাঘাট ফরেস্ট এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল । শুধু তাই নয়, এলাকায় তিনটি হাতির কড়িডোর আছে । রেতি মোরাঘাট, রেতি সেন্ট্রাল ডায়না, আর মোরাঘাট সেন্ট্রাল ডায়না । প্রতিটি বুথে বনদফতরের পেট্রোলিং ভ্যানের নম্বর দিয়ে আসা হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে । যাতে হাতির হানা হলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দিতে পারেন আধিকারিকদের ৷
মঙ্গলবার ভোটদান স্বাভাবিক ভাবেই চলে । বনবস্তি এলাকার বুথগুলিতে হাতির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয় ৷