ETV Bharat / state

SAI Center Covid Hospital : জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের বিল 26 লক্ষ টাকা - SAI Center Covid Hospital

জলপাইগুড়ির সাই সেন্টার থেকে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল জেলা স্বাস্থ্য দফতর সরিয়ে নিলেও, সাই সেন্টারের আবাসনের অনেকটা অংশ এখনও ফেরানো হয়নি কর্তৃপক্ষকে ৷ পাশাপাশি, সরকারের তরফে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের 26 লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল মেটানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে (26 Lakhs Electricity Bill for Temporary Covid Hospital in SAI Center of Jalpaiguri) ৷

26 Lakhs Electricity Bill for Temporary Covid Hospital in SAI Center of Jalpaiguri
26 Lakhs Electricity Bill for Temporary Covid Hospital in SAI Center of Jalpaiguri
author img

By

Published : Apr 6, 2022, 8:49 PM IST

জলপাইগুড়ি, 6 এপ্রিল : স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) সেন্টারে তৈরি হওয়া কোভিড হাসপাতালের বকেয়া বিদ্যুতের বিল 26 লক্ষ টাকা (26 Lakhs Electricity Bill for Temporary Covid Hospital in SAI Center of Jalpaiguri) ৷ আর সেই কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হলেও, কোভিড বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে সাই সেন্টারের পাশে ৷ খালি করে দেওয়া হয়নি হস্টেলও ৷ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে জলপাইগুড়ির স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ ৷ ফলে বিপাকে পড়েছে সাই কর্তৃপক্ষ ৷

জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হওয়া সাই সেন্টারের সুইমিং পুলের সামনে কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য ৷ অন্যদিকে, কোভিড হাসপাতালের বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় 26 লক্ষ টাকা ৷ সাই সেন্টারে কোভিড হাসপাতালে বন্ধ হিয়ে গেলেও সাফ সাফাই নিয়ে সমস্যায় কর্তৃপক্ষ ৷ এখনও সাই সেন্টারের হস্টেল হস্তান্তর করেনি স্বাস্থ্য দফতর ৷ ফলে সাই সেন্টারের আবাসিকদের থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে ৷

2020 সালের 31 মার্চ পর্যন্ত সাই এর তরফ থেকে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ তার পর রাজ্যের তরফে সেপ্টেম্বর 2020 সাল পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা হয় ৷ ওই বছরের অক্টোবর মাস থেকে 2022 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সাই সেন্টারের কোভিড হাসপাতালের বিদ্যুতের বিল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের বিল 26 লক্ষ টাকা

আরও পড়ুন : Sports Authority of India : জলপাইগুড়ি সাই সেন্টারের পরিকাঠামো উন্নয়নে বাধা স্টেডিয়ামের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল

স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইনচার্জ ওয়াসিম আহমেদ জানান, ‘‘আমরা কোভিডের পর পুরোদমে সাই সেন্টার চালানোর কাজ শুরু করেছি ৷ কিন্তু, কিছু সমস্যা আমাদের রয়েছে ৷ কোভিডের হাসপাতালের প্রায় 26 লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি আছে ৷ এছাড়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুলের সামনে কোভিডের বর্জ্য পদার্থ পরে রয়েছে ৷ তা এখনও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিষ্কার করা হয়নি ৷ আমি বিষয়গুলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও দিয়েছি ৷ এছাড়া আমাদের হোস্টেলের একাংশে কোভিডের সময় ডাক্তার, নার্সরা ছিলেন। সেই জায়গাটাও আমরা এখন পাইনি ৷ সেটাই আমাদের মূল হস্টেল ছিল ৷ সেই জায়গাটা পেলে আমাদের সুবিধা হয় ৷ আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ কোভিড হাসপাতালের জিনিসপত্র সরিয়ে আমাদের দেওয়া হবে ৷’’

আরও পড়ুন : Sports Authority of India : ক্রীড়ায় উত্তরবঙ্গের সাফল্যের লক্ষ্যে জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন

জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামপ্রসাদ অভিযোগ করেন, ‘‘সাই সেন্টারে অস্থায়ীভাবে কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছিল ৷ কিন্তু, কোভিড হাসপাতাল বন্ধ হলেও এখনও ঘরগুলি সাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি ৷ সাই সেন্টারের চারপাশে কোভিডের বর্জ্য পদার্থ রয়েছে ৷ যা পরিষ্কার করা উচিৎ ছিল ৷ আমরা চাই এই জায়গাগুলো পরিষ্কার করে দেওয়া হোক ৷ কারণ বাচ্চারা এখন সাই সেন্টারে চলে এসেছে খেলাধুলো করার জন্য ৷ বিদ্যুতের বিল 26 লক্ষ টাকা বাকি ৷ কেন্দ্র তো টাকা দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল ?’’

জলপাইগুড়ি জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশে আমরা বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে সাই সেন্টারে গড়ে তোলা কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছি ৷ তবে, এখনও সাই কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি হস্তান্তর করিনি ৷ কারণ আমরা জুন মাস পর্যন্ত দেখতে চাই কোভিডের কী অবস্থা হয় ! তার পরেই হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ আর কোভিড হাসপাতালে মেডিক্যালের বর্জ্য আমরা সরিয়ে দিয়েছি ৷ অন্যান্য বর্জ্য যেগুলি পরে রয়েছে সেগুলি সাধারণ বর্জ্য ৷ সেগুলি পৌরসভার মাধ্যমে আমরা পরিষ্কার করিয়ে দেব ৷ বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে সেটা আমরা জানি ৷ সেটাও মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ডাঃ জ্যোতিষচন্দ্র দাস ৷

জলপাইগুড়ি, 6 এপ্রিল : স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) সেন্টারে তৈরি হওয়া কোভিড হাসপাতালের বকেয়া বিদ্যুতের বিল 26 লক্ষ টাকা (26 Lakhs Electricity Bill for Temporary Covid Hospital in SAI Center of Jalpaiguri) ৷ আর সেই কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হলেও, কোভিড বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে সাই সেন্টারের পাশে ৷ খালি করে দেওয়া হয়নি হস্টেলও ৷ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে জলপাইগুড়ির স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ ৷ ফলে বিপাকে পড়েছে সাই কর্তৃপক্ষ ৷

জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হওয়া সাই সেন্টারের সুইমিং পুলের সামনে কোভিড হাসপাতালের বর্জ্য ৷ অন্যদিকে, কোভিড হাসপাতালের বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় 26 লক্ষ টাকা ৷ সাই সেন্টারে কোভিড হাসপাতালে বন্ধ হিয়ে গেলেও সাফ সাফাই নিয়ে সমস্যায় কর্তৃপক্ষ ৷ এখনও সাই সেন্টারের হস্টেল হস্তান্তর করেনি স্বাস্থ্য দফতর ৷ ফলে সাই সেন্টারের আবাসিকদের থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে ৷

2020 সালের 31 মার্চ পর্যন্ত সাই এর তরফ থেকে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ তার পর রাজ্যের তরফে সেপ্টেম্বর 2020 সাল পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা হয় ৷ ওই বছরের অক্টোবর মাস থেকে 2022 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সাই সেন্টারের কোভিড হাসপাতালের বিদ্যুতের বিল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের বিল 26 লক্ষ টাকা

আরও পড়ুন : Sports Authority of India : জলপাইগুড়ি সাই সেন্টারের পরিকাঠামো উন্নয়নে বাধা স্টেডিয়ামের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল

স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইনচার্জ ওয়াসিম আহমেদ জানান, ‘‘আমরা কোভিডের পর পুরোদমে সাই সেন্টার চালানোর কাজ শুরু করেছি ৷ কিন্তু, কিছু সমস্যা আমাদের রয়েছে ৷ কোভিডের হাসপাতালের প্রায় 26 লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি আছে ৷ এছাড়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুলের সামনে কোভিডের বর্জ্য পদার্থ পরে রয়েছে ৷ তা এখনও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিষ্কার করা হয়নি ৷ আমি বিষয়গুলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও দিয়েছি ৷ এছাড়া আমাদের হোস্টেলের একাংশে কোভিডের সময় ডাক্তার, নার্সরা ছিলেন। সেই জায়গাটাও আমরা এখন পাইনি ৷ সেটাই আমাদের মূল হস্টেল ছিল ৷ সেই জায়গাটা পেলে আমাদের সুবিধা হয় ৷ আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ কোভিড হাসপাতালের জিনিসপত্র সরিয়ে আমাদের দেওয়া হবে ৷’’

আরও পড়ুন : Sports Authority of India : ক্রীড়ায় উত্তরবঙ্গের সাফল্যের লক্ষ্যে জলপাইগুড়ির সাই সেন্টারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন

জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামপ্রসাদ অভিযোগ করেন, ‘‘সাই সেন্টারে অস্থায়ীভাবে কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছিল ৷ কিন্তু, কোভিড হাসপাতাল বন্ধ হলেও এখনও ঘরগুলি সাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি ৷ সাই সেন্টারের চারপাশে কোভিডের বর্জ্য পদার্থ রয়েছে ৷ যা পরিষ্কার করা উচিৎ ছিল ৷ আমরা চাই এই জায়গাগুলো পরিষ্কার করে দেওয়া হোক ৷ কারণ বাচ্চারা এখন সাই সেন্টারে চলে এসেছে খেলাধুলো করার জন্য ৷ বিদ্যুতের বিল 26 লক্ষ টাকা বাকি ৷ কেন্দ্র তো টাকা দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল ?’’

জলপাইগুড়ি জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশে আমরা বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে সাই সেন্টারে গড়ে তোলা কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছি ৷ তবে, এখনও সাই কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি হস্তান্তর করিনি ৷ কারণ আমরা জুন মাস পর্যন্ত দেখতে চাই কোভিডের কী অবস্থা হয় ! তার পরেই হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ আর কোভিড হাসপাতালে মেডিক্যালের বর্জ্য আমরা সরিয়ে দিয়েছি ৷ অন্যান্য বর্জ্য যেগুলি পরে রয়েছে সেগুলি সাধারণ বর্জ্য ৷ সেগুলি পৌরসভার মাধ্যমে আমরা পরিষ্কার করিয়ে দেব ৷ বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে সেটা আমরা জানি ৷ সেটাও মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ডাঃ জ্যোতিষচন্দ্র দাস ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.