ETV Bharat / state

নিম্নচাপের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষ, মাথায় হাত হুগলির চাষিদের - hooghly

নিম্নচাপের জন্য টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে প্রায় শেষ হয়ে গেছে আলু চাষ। বেঁচে থাকা আলু ঘরে ফেরাতে ব্যস্ত হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের চাষিরা।

আলু চাষ
author img

By

Published : Mar 2, 2019, 12:51 PM IST

আরামবাগ, ২ মার্চ : নিম্নচাপের জন্য টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে প্রায় শেষ হয়ে গেছে আলু চাষ। বেঁচে থাকা আলু ঘরে ফেরাতে ব্যস্ত হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের চাষিরা। জলমগ্ন জমি থেকে কোনওরকমে আলু তুলে কিছুটা হলেও লোকসানের মুখ থেকে বাঁচতে চাইছেন তাঁরা।

চাষিরা জানিয়েছেন, এক কাটা জমিতে যেখানে পাঁচ বস্তা আলুর ফলন হওয়ার কথা সেখানে দু বস্তা আলু পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে আলুর দাম মাত্র ২৮০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এইটুকু আলু কেনারও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, যাঁরা ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন তাঁরা কীভাবে শোধ করবেন তাই নিয়ে এখন চিন্তা সব থেকে বেশি। শুধুমাত্র যেসব চাষি ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন এবং কৃষি বিমার আওতায় আছেন তাঁরাই একমাত্র সরকারি সহযোগিতা পাবে। সেক্ষত্রে যারা ভাগচাষি বা নিজেই চাষ করেছেন তাঁদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

গোঘাটের ক্ষুদ্র আলু চাষি অভিজিৎ নন্দী বলেন, "জমিতে জল ভরতি হয়ে আছে। কোনওপ্রকারে কিছু আলু যদি তোলা যায় তাই চেষ্টা করছি। এই আলু ব্যবসায়ীরাও নেবে না আবার হিমঘরেও রাখা যাবে না। বাড়িতে রাখলেও পচে যাবে। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।"

undefined
শুনুন বক্তব্য

আর এক চাষি বিশ্বজিৎ নন্দী বলেন, "জলের জন্য মাঠে আলু ডুবে গেছে। যতটা পারা যায় উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। যারা ঋণ নিয়ে চাষ করেছে তারা হয়তো কিছুটা সরকারি সাহায্য পাবে। আর বাকিরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আগামী বছর থেকে অন্য চাষ করার ব্যবস্থা করতে হবে।"

আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়া বলেন, "আরামবাগ, গোঘাটে আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার ফসল বিমার কিস্তি দিচ্ছে। যাদের ফসল বিমা করা আছে সেই সব কৃষকরা সঠিক কাগজপত্র নিয়ে ADO অফিসে যোগাযোগ করলে বিমা পাবেন।" জেলা প্রশাসন এবং কৃষি দপ্তর থেকে চাষের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা শুরু করা হয়েছে।

আরামবাগ, ২ মার্চ : নিম্নচাপের জন্য টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে প্রায় শেষ হয়ে গেছে আলু চাষ। বেঁচে থাকা আলু ঘরে ফেরাতে ব্যস্ত হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের চাষিরা। জলমগ্ন জমি থেকে কোনওরকমে আলু তুলে কিছুটা হলেও লোকসানের মুখ থেকে বাঁচতে চাইছেন তাঁরা।

চাষিরা জানিয়েছেন, এক কাটা জমিতে যেখানে পাঁচ বস্তা আলুর ফলন হওয়ার কথা সেখানে দু বস্তা আলু পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে আলুর দাম মাত্র ২৮০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এইটুকু আলু কেনারও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, যাঁরা ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন তাঁরা কীভাবে শোধ করবেন তাই নিয়ে এখন চিন্তা সব থেকে বেশি। শুধুমাত্র যেসব চাষি ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন এবং কৃষি বিমার আওতায় আছেন তাঁরাই একমাত্র সরকারি সহযোগিতা পাবে। সেক্ষত্রে যারা ভাগচাষি বা নিজেই চাষ করেছেন তাঁদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

গোঘাটের ক্ষুদ্র আলু চাষি অভিজিৎ নন্দী বলেন, "জমিতে জল ভরতি হয়ে আছে। কোনওপ্রকারে কিছু আলু যদি তোলা যায় তাই চেষ্টা করছি। এই আলু ব্যবসায়ীরাও নেবে না আবার হিমঘরেও রাখা যাবে না। বাড়িতে রাখলেও পচে যাবে। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।"

undefined
শুনুন বক্তব্য

আর এক চাষি বিশ্বজিৎ নন্দী বলেন, "জলের জন্য মাঠে আলু ডুবে গেছে। যতটা পারা যায় উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। যারা ঋণ নিয়ে চাষ করেছে তারা হয়তো কিছুটা সরকারি সাহায্য পাবে। আর বাকিরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আগামী বছর থেকে অন্য চাষ করার ব্যবস্থা করতে হবে।"

আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়া বলেন, "আরামবাগ, গোঘাটে আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার ফসল বিমার কিস্তি দিচ্ছে। যাদের ফসল বিমা করা আছে সেই সব কৃষকরা সঠিক কাগজপত্র নিয়ে ADO অফিসে যোগাযোগ করলে বিমা পাবেন।" জেলা প্রশাসন এবং কৃষি দপ্তর থেকে চাষের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা শুরু করা হয়েছে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.