চুঁচুড়া, 25 জুন : তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চুঁচুড়া পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অমিত রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা (councillors of Chinsurah Municipality complain against the chairman in front of Partha Chatterjee) । শনিবার চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের উপস্থিতেই দলের মহিলা ও পুরুষ কাউন্সিলররা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানান ৷ তাঁদের অভিযোগ, চুঁচুড়া পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অমিত রায় তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেন ৷ ফলে তাঁদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে ৷ দলীয় কাউন্সিলরদের অভিযোগ শুনে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
শনিবার শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ সেসময় তাঁকে সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা ৷ অমিত রায়কে চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি দলের পঁচিশ জন কাউন্সিলর । দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে, শীর্ষ নেতৃত্বের এই নির্দেশের কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও একপ্রকার বাধ্য হয়েই অমিত রায়কে মেনে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেন তৃণমূল কাউন্সিলররা ৷
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামছে তৃণমূল, কটাক্ষ সুজনের
তবে দল ঐক্যের বার্তা দিলেও হুগলির চুঁচুড়া পৌরসভায় গত চার মাসে সেই ঐক্যের ছবিটা দেখা যায়নি । চেয়ারম্যানের সঙ্গে দূরত্ব রেখে সময়ের অপেক্ষা করতে থাকেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলররা । শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে সেই ক্ষোভই উগরে দেন তাঁরা ৷ চেয়ারম্যান বদলের দাবিও জানান তাঁরা ৷ চুঁচুড়ায় তৃণমূলের 29 জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে 25 জনই বিধায়ক অনুগামী বলে পরিচিত ।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, "দল আমাকে চেয়ারম্যান করেছে । যারা কাজ না-করে পয়সা নেয় তাদের গায়ে লাগছে । পৌরসভার চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সরব হওয়ায় ফিরহাদ হাকিম প্যানেল বাতিল করেন । না-হলে আমাদেরও আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হত ৷ কারও ক্ষোভ থাকতেই পারে ।" পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কাউন্সিলরদের শিখিয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন অমিত রায় । অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দলের নবনিযুক্ত কাউন্সিলরদের সঙ্গে পরিচয় হল । তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা শুনলাম । কাউন্সিলরদের সঙ্গে আমার কথোপকথন সংবাদমাধ্যমে বলার নয় ৷"