ETV Bharat / state

চুঁচুড়ায় সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পুলিশি অভিযান, সংঘর্ষ ; সকালে অঘোষিত বন্ধ

গতকাল কুখ্যাত সমাজবিরোধী টোটন বিশ্বাসের ডান হাত নেপার জন্মদিন ছিল । সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবীন্দ্রনগরে যায় রানাঘাট, রিষড়া, জগদ্দল, কাঁচারাপাড়া সহ একাধিক জায়গার সমাজবিরোধীরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ । শুরু হয় পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ । এর জেরে আহত হন রবীন্দ্রনগরের বেশ কিছু সাধারণ মানুষ ও পুলিশ । এরপরই আজ সকালে খাদিনামোড় থেকে হুগলি মোড় পর্যন্ত GT রোডের বিস্তীর্ণ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে এসে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে । এর জের আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ।

এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে দুষ্কৃতীরা
author img

By

Published : Jul 13, 2019, 6:02 PM IST

Updated : Jul 13, 2019, 8:41 PM IST

চুঁচুড়া, 13 জুলাই : আজ সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল চুঁচুড়া । গতরাতে পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ হয় । এর জেরে আহত হন রবীন্দ্রনগরের বেশ কিছু সাধারণ মানুষ ও পুলিশ । এরপর আজ সকালে খাদিনামোড় থেকে হুগলি মোড় পর্যন্ত GT রোডের বিস্তীর্ণ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় চুঁচুড়া থানার পুলিশ ও RAF । তারা রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

CHUCHURA
এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে দুষ্কৃতীরা

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সন্ধ্যায় । গতকাল সমাজবিরোধী টোটন বিশ্বাসের ডান হাত নেপার জন্মদিন ছিল । জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই রবীন্দ্রনগরে বসে মদের আসর । আসরে যোগ দেয় রবীন্দ্রনগর সহ রানাঘাট, রিষড়া, জগদ্দল, কাঁচারাপাড়া সহ একাধিক জায়গার সমাজবিরোধীদের । পুলিশের কাছে খবর ছিল । পাকড়াওয়ের প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর । গতরাত 11 টা নাগাদ ASP 1 যশপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে চুঁচুড়া থানার IC অরিজিৎ দাসগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ ও ব়্যাফ । পুলিশ রবীন্দ্রনগরে ঢোকা মাত্র তাদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা । চলে ইটবৃষ্টি ও গুলি । দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী । কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, "দুষ্কৃতীদের গুলির হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন যশপ্রীত সিং ও অরিজিৎ দাসগুপ্ত । অন্ধকার থাকায় পুলিশকর্মীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কোথা থেকে গুলি ও ইট ছোড়া হচ্ছে । বাধ্য হয়ে আমরা মক গ্রেনেড, রবার বুলেট ফায়ার করি ।" এরপরেই ছত্রভঙ্গ হয় দুষ্কৃতীরা । এলাকার বিভিন্ন গলি দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ।

CHUCHURA
টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

আজ সকালে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনগর এলাকা । বন্দুক উঁচিয়ে কাতারে কাতরে দুষ্কৃতী বেরিয়ে আসে রাস্তায় । তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রবীন্দ্রনগর সহ চুঁচুড়া শহরের বেশ কিছু সাধারণ মানুষ । শুরু হয় GT রোড অবরোধ । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে এসে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে । এর জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ।

এর প্রতিবাদে আজ সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল ও দোকানপাট । স্তব্ধ হয়ে যায় জেলা সদর চুঁচুড়া শহর । অভিযোগ, চুঁচুড়া ও হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা । বন্ধ হয়ে যায় স্টেশন সংলগ্ন গ্যারেজগুলি । অঘোষিত বন্ধের চেহারা নেয় চুঁচুড়া শহর । এর জেরে বিপাকে পড়েন ট্রেন ও বাসের নিত্যযাত্রীরা ।

CHUCHURA
স্তব্ধ চুঁচুড়া

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থানে যান পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর । পুলিশ এলাকাটিকে দু'দিক থেকে ঘিরে ফেলে । ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে অবরোধকারীরা । পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । একই সঙ্গে চলতে থাকে মক গ্রেনেড ও রবার বুলেট ফায়ারিং ।

ভিডিয়োয় শুনুন হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য

ঘটনায় মোট 12 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পরে কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী যায় রবীন্দ্রনগরে । তারা টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও আস্তানা সহ গোটা এলাকা রেইকি করে । কমিশনার বলেন, "গোটা এলাকা আমি ঘুরে দেখেছি । এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিটি পোস্টে CCTV লাগানো রয়েছে । এই ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে এলাকার উপর নজর চালাত টোটন । ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল । সাধারণ মানুষ ওই এলাকায় ঢুকে পড়লে তাকে আটকে তল্লাশি চালাত দুষ্কৃতীরা । যা আমাদের রাজ্যে কাম্য নয় ।" কমিশনার সাফ জানান, দ্রুত এই দুষ্কৃতীরাজ সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হবে । লাগাতার চলবে এই অভিযান । আজ সকালে টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও বেশ কয়েকটি আস্তানা তল্লাশি করে বেশ কিছু নথিপত্র, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, টোটনের খোঁজ মেলেনি ।

চুঁচুড়া, 13 জুলাই : আজ সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল চুঁচুড়া । গতরাতে পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ হয় । এর জেরে আহত হন রবীন্দ্রনগরের বেশ কিছু সাধারণ মানুষ ও পুলিশ । এরপর আজ সকালে খাদিনামোড় থেকে হুগলি মোড় পর্যন্ত GT রোডের বিস্তীর্ণ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় চুঁচুড়া থানার পুলিশ ও RAF । তারা রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

CHUCHURA
এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে দুষ্কৃতীরা

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সন্ধ্যায় । গতকাল সমাজবিরোধী টোটন বিশ্বাসের ডান হাত নেপার জন্মদিন ছিল । জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই রবীন্দ্রনগরে বসে মদের আসর । আসরে যোগ দেয় রবীন্দ্রনগর সহ রানাঘাট, রিষড়া, জগদ্দল, কাঁচারাপাড়া সহ একাধিক জায়গার সমাজবিরোধীদের । পুলিশের কাছে খবর ছিল । পাকড়াওয়ের প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর । গতরাত 11 টা নাগাদ ASP 1 যশপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে চুঁচুড়া থানার IC অরিজিৎ দাসগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ ও ব়্যাফ । পুলিশ রবীন্দ্রনগরে ঢোকা মাত্র তাদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা । চলে ইটবৃষ্টি ও গুলি । দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী । কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, "দুষ্কৃতীদের গুলির হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন যশপ্রীত সিং ও অরিজিৎ দাসগুপ্ত । অন্ধকার থাকায় পুলিশকর্মীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কোথা থেকে গুলি ও ইট ছোড়া হচ্ছে । বাধ্য হয়ে আমরা মক গ্রেনেড, রবার বুলেট ফায়ার করি ।" এরপরেই ছত্রভঙ্গ হয় দুষ্কৃতীরা । এলাকার বিভিন্ন গলি দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ।

CHUCHURA
টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

আজ সকালে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনগর এলাকা । বন্দুক উঁচিয়ে কাতারে কাতরে দুষ্কৃতী বেরিয়ে আসে রাস্তায় । তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রবীন্দ্রনগর সহ চুঁচুড়া শহরের বেশ কিছু সাধারণ মানুষ । শুরু হয় GT রোড অবরোধ । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে এসে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে । এর জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ।

এর প্রতিবাদে আজ সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল ও দোকানপাট । স্তব্ধ হয়ে যায় জেলা সদর চুঁচুড়া শহর । অভিযোগ, চুঁচুড়া ও হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা । বন্ধ হয়ে যায় স্টেশন সংলগ্ন গ্যারেজগুলি । অঘোষিত বন্ধের চেহারা নেয় চুঁচুড়া শহর । এর জেরে বিপাকে পড়েন ট্রেন ও বাসের নিত্যযাত্রীরা ।

CHUCHURA
স্তব্ধ চুঁচুড়া

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থানে যান পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর । পুলিশ এলাকাটিকে দু'দিক থেকে ঘিরে ফেলে । ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে অবরোধকারীরা । পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । একই সঙ্গে চলতে থাকে মক গ্রেনেড ও রবার বুলেট ফায়ারিং ।

ভিডিয়োয় শুনুন হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য

ঘটনায় মোট 12 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পরে কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী যায় রবীন্দ্রনগরে । তারা টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও আস্তানা সহ গোটা এলাকা রেইকি করে । কমিশনার বলেন, "গোটা এলাকা আমি ঘুরে দেখেছি । এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিটি পোস্টে CCTV লাগানো রয়েছে । এই ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে এলাকার উপর নজর চালাত টোটন । ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল । সাধারণ মানুষ ওই এলাকায় ঢুকে পড়লে তাকে আটকে তল্লাশি চালাত দুষ্কৃতীরা । যা আমাদের রাজ্যে কাম্য নয় ।" কমিশনার সাফ জানান, দ্রুত এই দুষ্কৃতীরাজ সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হবে । লাগাতার চলবে এই অভিযান । আজ সকালে টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও বেশ কয়েকটি আস্তানা তল্লাশি করে বেশ কিছু নথিপত্র, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, টোটনের খোঁজ মেলেনি ।

Intro:গতকাল রাতে পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের মধ্যে সংঘর্ষ।আহত রবীন্দ্রনগরের বেশ কিছু মানুষ ও পুলিশ কর্মী।এরপরই সকাল থেকে টায়ার জ্বালিয়ে রবীন্দ্রনগর GT রোড, হুগলি ও চুঁচুড়া স্টেশন বন্ধের চেহারা নেয়।ভোগান্তির মুখে পরে ট্রেন ও বাসের নিত্য যাত্রীরা।চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।চলে রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস।পরে রবীন্দ্রনগরের কুখ্যাতি দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও আস্তানা তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি ও ল্যাপটপ উদ্ধার করে পুলিশ।তবে স্থানীয় বাসিন্দারা ও মহিলাদের অভিযোগ পুলিশ অভিযুক্তদের ধরার নাম করে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে ।রাতে এলাকায় এসে গুলি চালায় মারধর করে।তাতেই স্থানীয় বেশ কয়েকজন আহত হয়।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্বস্ত সূত্রে খবর আসে উপদ্রুত রবীন্দ্র নগর সহ রানাঘাট রিষরা জগদল কাঁচারা পাড়া ইত্যাদি জায়গার কুখ্যাত সমাজ বিরোধীরা রবীন্দ্র নগরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে।কুখ্যাত সমাজবিরোধী টোটন বিশ্বাসের দান হাত নেপার জন্মদিন।এই জন্মদিনের অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে মদের আসর বসে ।সেই আসরে সমারোহ হবে জেলা ও এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের।খবর পাওয়া মাত্র প্রস্তুতি শুরু করে চন্দননগর কমিশনারেট।রাত 11 টা নাগাদ ASP 1 জস্প্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে ও চুঁচুড়া থানার IC অরিজিৎ দাসগুপ্ত কে সঙ্গে নিয়ে বিশাল রাফ ও পুলিশ বাহিনী অনুষ্ঠান বাড়ির উদ্যেশে যায়।পুলিশ কমিশনারেট হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন রাত সাড়ে 11 টা নাগাদ বাহিনী রবীন্দ্রনগরে এলাকা প্রবেশ করা মাত্র তান্ডব শুরু করে দুস্কৃতি রা।এলোপাথলি ইট বৃষ্টি ও পুলিশ কে লক্ষ করে চালানো হয় গুলি।দুষ্কৃতী দের ছোঁড়া ইটের আঘাতে আহত হয় পুলিশ আধিকারিক সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী।কমিশনার বলেন দুষ্কৃতীদের গুলির হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে জস্প্রীত সিং ও অরিজিৎ দাস গুপ্ত।রাতের অন্ধকার থাকায় পুলিশ কর্মীরা বুঝে উঠতে পারে না কোথা থেকে গুলি ও ইট আক্রমন আসছে।বাধ্য হয়ে মক গ্রেনেট ,রবার বুলেট ফায়ার করা শুরু হয়।ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।এলাকার বিভিন্ন গলি ব্যবহার করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।অনুষ্ঠানের জায়গা ঘুরে ফিরে আসে পুলিশ বাহিনী।শনিবার সকালে অগ্নি গর্ভ হয়ে ওঠে রবীন্দ্র নগর এলাকা।বন্দুক উঁচিয়ে কাতারে কাতরে দুষ্কৃতী বেরিয়ে আসে রাস্তায়।সঙ্গে যোগ দেয় রবীন্দ্র নগর সহ চুঁচুড়া শহরের বেশ কিছু মানুষ।GT রোডে শুরু অবরোধ ।পুলিশি তান্ডবের প্রতিবাদে স্তব্ধ করে দেওয়া জেলা সদর চুঁচুড়া শহর।বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল ও দোকান পাঠ।অভিযোগ চুঁচুড়া ও হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা।বন্ধ হয়ে যায় স্টেশন সংলগ্ন গ্যারেজ গুলি।খাদিনামোড় থেকে হুগলি মোড় পর্যন্ত GT রোডের বিস্তীর্ণ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে চলতে থাকে হাজার হাজার মানুষের তান্ডব।অঘোষিত বন্ধের চেহারা নেয় চুঁচুড়া শহর।রাস্তা ঘাট শুন শান হয়ে যায়।যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির।বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে দু দিক থেকে ঘিরে ফেলে।পুলিশ কে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে অবরোধকারীরা। একাধিক কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়।একই সঙ্গে চলতে থাকে মক গ্রেনেট ও রবার বুলেট ফায়ারিং।মোট 12জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।।মিনিট পনেরোর মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ কে ছত্র ভঙ্গ করে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।পরে হুমায়ুন কবির নেতৃত্বে বাহিনী প্রবেশ করে রবীন্দ্রনগরে ।টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও আস্তানা সহ গোটা এলাকা রেইকি করে।কমিশনার জানিয়েছেন রবীন্দ্র নগর সহ সংলগ্ন এলাকায় সমান্তরাল একটা প্রশাসন পরিচালনা করত টোটন বিশ্বাস।গোটা এলাকা তিনি ঘুরে দেখেছেন।এলাকার নজর দাড়ি চালানোর জন্য প্রতিটি ল্যাম পোস্টে CCTV ক্যামেরা লাগানো রয়েছে।যে CCTV ক্যামেরা র মাধ্যমে বিস্তৃন এলাকার উপর নজর চালাত টোটন।কমিশনার আরো বলেন ঐ এলাকায় সাধারণ এর অবাধ যাতায়াত নিষিদ্ধ ছিল।সাধারণ মানুষ ঐ এলাকায় ঢুকে পড়লে তাকে আটকে তল্লাশি চালাত দুষ্কৃতীরা।একরকম জঙ্গল রাজয়ত্ব কায়েকম করে রেখেছিল টোটন ও তার দলবল।যা আমাদের রাজ্যে কাম্য নয়।কমিশনার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দ্রুত এই দুষ্কৃতী রাজ কে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হবে।লাগাতার চলবে এই অভিযান।এদিন সকালে টোটন বিশ্বাসের বাড়ি ও বেশ কয়েকটি আস্তানা তল্লাশি করে বেশ কিছু নথি পত্র ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।Body:WB_HGL_13JUL_CHUCHURA INCIDENT COPY_7203418Conclusion:
Last Updated : Jul 13, 2019, 8:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.