খানাকুল , 16 জুন : "CPI(M)-এর খুন, অত্যাচার, জবরদখল, দাদাগিরি, রংবাজি এবং জোর করে দমনপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ রায় দিয়েছিল । সেই 34 বছরের শাসনকাল BJP আবার বাংলায় ফিরিয়ে আনতে চাইছে । এর থেকে লজ্জাজনক, দুর্ভাগ্যজনক কিছু হতে পারে না । " আজ হুগলির খানাকুলে মৃত তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাত্রের বাড়ি গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্তব্য করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি ।
গতকাল দলীয় অফিসের সামনে খুন হন খানাকুল 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাত্র । রাত আটটা নাগাদ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছিলেন তিনি । অভিযোগ, সেসময় BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে । তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয় । পরে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মনোরঞ্জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP ।
আজ মনোরঞ্জনের বাড়ি আসেন অভিষেক । তিনি বলেন, "মনোরঞ্জনবাবু অত্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন । এলাকায় তাঁর সুনাম রয়েছে । তিনি নিজে একজন শিক্ষক ছিলেন । দুষ্কৃতীরা একসময় বাংলাকে হার্মাদদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছিল । তারা আবারও উন্মাদদের উল্লাসমঞ্চে বাংলাকে পরিণত করতে চাইছে । ধিক্কার জানানোর ,প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই ।" তিনি আরও বলেন, "যারা অনিল বসুর মদতে রাজনীতি করত তারা এখন রাম বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । এককালীন CPI(M) হার্মাদ এখন BJP-র জল্লাদ ।" অভিষেকের বক্তব্য, "2011 সালে মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসেন । তিনি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন । ক্ষমতায় এসে প্রথমদিন থেকেই এলাকার শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু BJP এই নির্বাচনে কিছু সংখ্যক আসন পাওয়ার পর থেকেই বাংলায় আবার সেই কালো দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে । যেভাবে একসময় অনিল বসু, লক্ষ্মণ শেঠ, অনুজ পান্ডের মত নেতারা রক্তের রাজনীতি করত সেই দিনগুলোই আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে BJP ।"
মনোরঞ্জন খুনে 16 জনের বিরুদ্ধে FIR হয়েছে । গ্রেপ্তার তিনজন । অভিষেকের আশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন । তাই যে বা যারাই এই কাজ খুন করুক তাদের রেয়াত করা হবে না । তিনি আরও বলেন, "অভিযুক্তরা যদি ভাবে মুকুল রায় বা দিলীপ ঘোষ বাঁচাবে, দিল্লির বাবারাও বাঁচাতে পারবে না । আমি নিজে দেখছি বিষয়টা । কার কত বড় ক্ষমতা দেখে নেব । তৃণমূল বদলা নয় বদলের রাজনীতি চেয়েছিল বলে আজ এরা বেঁচে আছে । আমরা যদি বদলার রাজনীতি করি এদের দূরবিন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না ।"
এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "NRS থেকে সন্দেশখালি সব কিছুর পিছনেই রয়েছে বাংলাদেশের জামাত সংগঠন । আর তাদের নিয়ে এসেছে তৃণমূল ।" এপ্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "দিলীপবাবুর মস্তিষ্কের ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন । কখন কী বলেন নিজেই জানেন না ।"