জলপাইগুড়ি, 2 এপ্রিল : "BJP-র ভোট ব্যাঙ্ক ভয়ানক বেড়েছে এই রাজ্যে। না হলে মুখ্যমন্ত্রী যে সব সিটে হেরে যাবে সেগুলিতেও প্রচারে আসছেন।" আজ জলপাইগুড়িতে BJP প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে প্রচার করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে একথা বলেন রূপা গাঙ্গুলি।
তিনি জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর মানসিকতা এমনই যে তিনি চাবুক দিয়ে লোকদের নিয়ে এসে ভিড় দেখাবেন। তাহলে উনি এটা করুন। বেশি বেশি করে করুন। আমরা চাই ওনার সভায় আরও বেশি করে চাবুক পিটিয়ে উনি লোক আনুন। তারপর ভোটটা কোথায় পড়বে আমরাও দেখব।"
আজ জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন BJP নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, "জলপাইগুড়ির সাংসদ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি হয়ে কলকাতা যাওয়ার রেলপথের জন্য কোনও উদ্যোগই নেননি। যা করেছে BJP সরকার করেছে। কেন তিনি কাজটা করতে পারেননি এবং কতবার তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বা পার্লামেন্টে কী কথা বলেছেন তা আমি জানতে চাই। কাজটা করলে মানুষ জেনে যাবে। সবাইকে আসল কথাটা তৃণমূল জানাতে চাইছে না। কাজ হয়ে গেলে সবাই জেনে যাবে মোদি সরকার করে দিয়েছে। তাই কাজগুলোকে তারা আটকে রেখে দিয়েছে।"
তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে BSNL এবং রেলের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন রাজ্য সরকার ঠিকমতো দেয় না। অস্থায়ী কর্মীদের মাইনে আটকে দেওয়া হয় এই রাজ্যে। এখানে ঘুঘুর বাসা চলছে। কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা এবার সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই রাজ্য সরকারের লোকদের তোলা তুলতে হলে ব্যাঙ্কের বাইরে বসে থাকতে হয়। জলপাইগুড়ির বারোপেটিয়া এলাকায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে ভোট দিতে পারেননি মানুষজন। এর আগের পঞ্চায়েত ভোটে মানুষজন ভোট দেবে না আমরা ধরেই নিয়েছিলাম। কিন্তু মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। মার খেয়েছে তাও ভোট দিতে গেছে। তৃণমূল নেত্রী মানুষকে বোকা ধরে নিয়েছে। তিনি ম্যানিফেস্টো ছাপাচ্ছেন। উনি ভুলে গেছেন মানুষ এখন ডিজ়িটাল ইন্ডিয়ায় আছে।"