ETV Bharat / state

বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে নোটিশ SJDA-র - Fire

ব্যবসায়ী ননীগোপাল বসাক বলেন, "আমরা বহুদিন ধরেই এখানে দোকান করছি । আচমকা মন্ত্রী এসে বললেন এসব অবৈধ । এটা কোনওমতেই মানা যায় না । আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে দোকান তৈরি করছি । কিন্তু যদি দোকানঘর ভাঙা হয় আমরা সরব হব । ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী কর্মসূচি নির্ধারণ করব । কারণ সবটাই পেটের ব্যাপার । দোকান না থাকলে আমরা সংসার চালাতে পারব না ।"

নোটিশ SJDA-র
author img

By

Published : Jul 15, 2019, 11:20 PM IST

শিলিগুড়ি, 15 জুলাই : মন্ত্রী গৌতম দেবের হুঁশিয়ারির পর আজ বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে নোটিশ জারি করল SJDA (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ) । কিন্তু ব্যবসায়ীরা SJDA-র নোটিশকে উপেক্ষা করেই জারি রাখল নির্মাণ কাজ । অন্যদিকে, বেশকিছু ব্যবসায়ী অর্ধসমাপ্ত দোকান ঘরেই শুরু করল ব্যবসা । ঘটনায় গৌতম দেব ও ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে শুরু হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ ।

প্রায় একমাস আগে বিধান মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সাতটি দোকান । আজ সেই দোকানঘরগুলির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে SJDA-এর আধিকারিকদের নিয়ে বিধান মার্কেট পরিদর্শনে আসেন গৌতম দেব । ঘটনাস্থানে পৌঁছে তিনি বলেন, "সাতটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । কিন্তু 20টি দোকান গড়ে তোলা হয়েছে ।" ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদতে কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দোকানঘর তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন গৌতমবাবু । তিনি বলেন, "এসব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না । অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে । কেউ যদি এই কাজে বাধা দেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে ।" এরপরই গৌতমবাবু আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে নোটিশ জারি করার । মন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হয় ব্যবসায়ীরা । যদিও গৌতমবাবু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই নোটিশ জারি করেন । পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের তিনদিন সময়সীমা বেঁধে দেন । ঘটনায় বৈঠক ডাকেন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক । ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রের খবর, মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অনৈতিক । এর প্রতিবাদে প্রয়োজনে আগামীতে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে ।

ব্যবসায়ী ননীগোপাল বসাক বলেন, "আমরা বহুদিন ধরেই এখানে দোকান করছি । আচমকা মন্ত্রী এসে বললেন এসব অবৈধ । এটা কোনওমতেই মানা যায় না । আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে দোকান তৈরি করছি । কিন্তু যদি দোকানঘর ভাঙা হয় আমরা সরব হব । ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী কর্মসূচি নির্ধারণ করব । কারণ সবটাই পেটের ব্যাপার । দোকান না থাকলে আমরা সংসার চালাতে পারব না ।"

অপর এক ব্যবসায়ী মধুসূদন সাহা বলেন, "এটা মন্ত্রীর হটকারি সিদ্ধান্ত । আমাদের সবার কাছে ট্রেড লাইসেন্স ও ইলেকট্রিক বিল আছে । তাহলে এসব অবৈধ হয় কীভাবে । SJDA নোটিশ দিয়েছে । আমাদের দোকান থাকবে । ভাঙার উপক্রম হলে প্রয়োজনে আমরা পথে নামব । আন্দোলন করব ।"

SJDA-র CEO এস পুনমবালা বলেন, "তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে । এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা সরে না দাঁড়ালে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । প্রয়োজনে ওইসব অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে ।"

শিলিগুড়ি, 15 জুলাই : মন্ত্রী গৌতম দেবের হুঁশিয়ারির পর আজ বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে নোটিশ জারি করল SJDA (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ) । কিন্তু ব্যবসায়ীরা SJDA-র নোটিশকে উপেক্ষা করেই জারি রাখল নির্মাণ কাজ । অন্যদিকে, বেশকিছু ব্যবসায়ী অর্ধসমাপ্ত দোকান ঘরেই শুরু করল ব্যবসা । ঘটনায় গৌতম দেব ও ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে শুরু হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ ।

প্রায় একমাস আগে বিধান মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সাতটি দোকান । আজ সেই দোকানঘরগুলির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে SJDA-এর আধিকারিকদের নিয়ে বিধান মার্কেট পরিদর্শনে আসেন গৌতম দেব । ঘটনাস্থানে পৌঁছে তিনি বলেন, "সাতটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । কিন্তু 20টি দোকান গড়ে তোলা হয়েছে ।" ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদতে কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দোকানঘর তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন গৌতমবাবু । তিনি বলেন, "এসব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না । অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে । কেউ যদি এই কাজে বাধা দেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে ।" এরপরই গৌতমবাবু আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে নোটিশ জারি করার । মন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হয় ব্যবসায়ীরা । যদিও গৌতমবাবু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই নোটিশ জারি করেন । পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের তিনদিন সময়সীমা বেঁধে দেন । ঘটনায় বৈঠক ডাকেন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক । ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রের খবর, মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অনৈতিক । এর প্রতিবাদে প্রয়োজনে আগামীতে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে ।

ব্যবসায়ী ননীগোপাল বসাক বলেন, "আমরা বহুদিন ধরেই এখানে দোকান করছি । আচমকা মন্ত্রী এসে বললেন এসব অবৈধ । এটা কোনওমতেই মানা যায় না । আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে দোকান তৈরি করছি । কিন্তু যদি দোকানঘর ভাঙা হয় আমরা সরব হব । ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী কর্মসূচি নির্ধারণ করব । কারণ সবটাই পেটের ব্যাপার । দোকান না থাকলে আমরা সংসার চালাতে পারব না ।"

অপর এক ব্যবসায়ী মধুসূদন সাহা বলেন, "এটা মন্ত্রীর হটকারি সিদ্ধান্ত । আমাদের সবার কাছে ট্রেড লাইসেন্স ও ইলেকট্রিক বিল আছে । তাহলে এসব অবৈধ হয় কীভাবে । SJDA নোটিশ দিয়েছে । আমাদের দোকান থাকবে । ভাঙার উপক্রম হলে প্রয়োজনে আমরা পথে নামব । আন্দোলন করব ।"

SJDA-র CEO এস পুনমবালা বলেন, "তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে । এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা সরে না দাঁড়ালে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । প্রয়োজনে ওইসব অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে ।"

Intro:বিধানমার্কেটের অবৈধ নির্মান ভাঙ্গতে নোটিশ জারি এসেজেডিএর, মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্মান কাজে মগ্ন ব্যবসায়ীরা!

শিলিগুড়ি, ১৫ জুলাইঃ মন্ত্রীর হুশিয়ারীর পরেই বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মান ভেঙ্গে ফেলা প্রসঙ্গে আজ বিকেলে নোটিশ জারি করল এসজেডিএ (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কতৃপক্ষ)। যদিও ব্যবসায়ীরা একপ্রকার মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এসজেডিএর নোটিশ উপেক্ষা করেই নির্মান কাজ জারি রাখেন। অন্যদিকে, বেশকিছু ব্যবসায়ী অর্ধসমাপ্ত দোকান ঘরেই ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেন। সামগ্রিক ঘটনায় মন্ত্রী ও বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে শুরু হয়েছে স্নায়ু যুদ্ধ। সরগরম হয়ে উঠেছে শিলিগুড়ি।
Body:আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ সাতটি দোকানঘরের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে এসজেডিএর আধিকারীকদের নিয়ে বিধানমার্কেট পরিদর্শনে যান মন্ত্রী গৌতম দেব। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই মন্ত্রী অবৈধ নির্মান প্রসঙ্গে সরব হয়ে বলেন সাতটি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ২০ টি দোকান গড়ে তোলা হচ্ছে। তার অভিযোগ, ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদতে কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দোকানঘর তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। মন্ত্রী হুশিয়ারী দিয়ে বলেন এসব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। অবৈধ নির্মান ভেঙ্গে ফেলা হবে। কেউ বাঁধা দিলে গ্রেপ্তার করা হবে। এরপরেই মন্ত্রী ধমকের সুরে আধিকারীকদের বলেন, অবৈধ নির্মান ভাঙ্গার বিষয়ে নোটিশ জারি করা হোক। মন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেদিনই দোকানপাট বন্ধ করে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হয়। যদিও মন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনঢ়। এরপরেই আজ জারি হল নোটিশ। ব্যবসায়ীদের তিনদিনের সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে বসেন বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বৈঠকে স্থির হবে আগামী পদক্ষেপ। ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর হুশিয়ারীর পরে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অনৈতিক। তার প্রতিবাদে প্রয়োজনে আগামীতে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।

Conclusion:নোটিশ জারি হতেই ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী ননীগোপাল বসাক বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই এখানে দোকান করছি। আচমকা মন্ত্রী সকালে এসে বলে গেলেন এসব অবৈধ। এটা কোনমতেই মানা যায় না। আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে দোকান তৈরি করছি। সেক্ষেত্রে যদি দোকানঘর ভাঙ্গা হয় আমরা সরব হব। ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী কর্মসূচী নির্ধারণ করব। কারণ সবটাই পেটের ব্যাপার। দোকা চলে গেলে আমরা কি করে সংসার চালাবো। অপর এক ব্যবসায়ী মধূসুদন সাহা বলেন, এটা মন্ত্রীর হটকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের সবার কাছে ট্রেড লাইসেন্স, ইলেকট্রনিক বিল আছে। তাহলে এসব অবৈধ হয় কিভাবে। এসজেডিএ নোটিশ দিয়েছে৷ তবে আমাদের দোকান থাকবে। ভাঙ্গার উপক্রম হলে প্রয়োজনে আমরা পথে নামব। আন্দোলন হবে।

এসজেডিএর সিইও এস পুনমবালা বলেন, তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা সরে না দাড়ালে আইন মেনে ব্যবস্থা মেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওইসব অবৈধ নির্মান ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.