শিলিগুড়ি, 15 জুলাই : মন্ত্রী গৌতম দেবের হুঁশিয়ারির পর আজ বিধান মার্কেটের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে নোটিশ জারি করল SJDA (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ) । কিন্তু ব্যবসায়ীরা SJDA-র নোটিশকে উপেক্ষা করেই জারি রাখল নির্মাণ কাজ । অন্যদিকে, বেশকিছু ব্যবসায়ী অর্ধসমাপ্ত দোকান ঘরেই শুরু করল ব্যবসা । ঘটনায় গৌতম দেব ও ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে শুরু হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ ।
প্রায় একমাস আগে বিধান মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সাতটি দোকান । আজ সেই দোকানঘরগুলির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে SJDA-এর আধিকারিকদের নিয়ে বিধান মার্কেট পরিদর্শনে আসেন গৌতম দেব । ঘটনাস্থানে পৌঁছে তিনি বলেন, "সাতটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । কিন্তু 20টি দোকান গড়ে তোলা হয়েছে ।" ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদতে কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দোকানঘর তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন গৌতমবাবু । তিনি বলেন, "এসব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না । অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে । কেউ যদি এই কাজে বাধা দেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে ।" এরপরই গৌতমবাবু আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে নোটিশ জারি করার । মন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হয় ব্যবসায়ীরা । যদিও গৌতমবাবু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই নোটিশ জারি করেন । পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের তিনদিন সময়সীমা বেঁধে দেন । ঘটনায় বৈঠক ডাকেন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক । ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রের খবর, মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অনৈতিক । এর প্রতিবাদে প্রয়োজনে আগামীতে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে ।
ব্যবসায়ী ননীগোপাল বসাক বলেন, "আমরা বহুদিন ধরেই এখানে দোকান করছি । আচমকা মন্ত্রী এসে বললেন এসব অবৈধ । এটা কোনওমতেই মানা যায় না । আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে দোকান তৈরি করছি । কিন্তু যদি দোকানঘর ভাঙা হয় আমরা সরব হব । ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী কর্মসূচি নির্ধারণ করব । কারণ সবটাই পেটের ব্যাপার । দোকান না থাকলে আমরা সংসার চালাতে পারব না ।"
অপর এক ব্যবসায়ী মধুসূদন সাহা বলেন, "এটা মন্ত্রীর হটকারি সিদ্ধান্ত । আমাদের সবার কাছে ট্রেড লাইসেন্স ও ইলেকট্রিক বিল আছে । তাহলে এসব অবৈধ হয় কীভাবে । SJDA নোটিশ দিয়েছে । আমাদের দোকান থাকবে । ভাঙার উপক্রম হলে প্রয়োজনে আমরা পথে নামব । আন্দোলন করব ।"
SJDA-র CEO এস পুনমবালা বলেন, "তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে । এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা সরে না দাঁড়ালে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । প্রয়োজনে ওইসব অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে ।"