শিলিগুড়ি, 13 মে : 26 মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে শিলিগুড়ি-ঢাকা বাস পরিষেবা । গতবছর পরীক্ষামূলক ভাবে এই বাস পরিষেবা চালু হয়েছিল । ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে ঢাকা থেকে বাস এসেছিল । এবার চূড়ান্ত ভাবে চালু হতে চলেছে এই বাস পরিষেবা। ২৬ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত বাস চলবে। ফুলবাড়ি থেকে পৃথক একটি বাসে যাত্রীদের নিয়ে আসা হবে শিলিগুড়িতে।
26 মে ঢাকার কমলাপুর থেকে এই পরিষেবা শুরু হবে। সময় লাগবে প্রায় ১৪ ঘণ্টা । প্রতিদিন দুটি বাস চলাচল করবে। জানা গেছে, শ্যামলী পরিবহন সংস্থা সরকারি পরিষেবা না হওয়ায় ঢাকা থেকে আসা বাসটি বাংলাবান্ধা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকবে না । বাসটি এসে দাঁড়াবে ফুলবাড়ির ওপারে বাংলাবান্ধা সীমান্তে । যাত্রীরা নেমে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজ সেরে ব্যাগ পরীক্ষার পর শ্যামলী পরিবহনের আর একটি বাসে উঠবেন। এরপর শিলিগুড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের । একইভাবে শিলিগুড়ি থেকেও ঢাকায় যাবে বাস।
কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে । দু'দেশের মধ্যে বাস পরিষেবা নিয়ে পর্যটনের বিকাশেও বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে । বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে তৃতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ও অভিবাসনকেন্দ্র হল ফুলবাড়ি–বাংলাবান্ধা । যোগাযোগ ব্যবস্থার শীর্ষে থাকা এই অভিবাসনকেন্দ্র দিয়ে বহুবছর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে বাস পরিষেবার দাবি ওঠে । তাই BBIN চুক্তিতে গত বছর ২৩ এপ্রিল এই পথেই পরীক্ষামূলক বাস যাত্রা শুরু হয় ।
মূলত শিলিগুড়ি হয়ে তিনটি দেশের মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল শুরু করতে চাইছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন দপ্তর। ব্যবহার করা হবে এশিয়ান হাইওয়ে–২ । ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও নেপাল জুড়েছে এই পথে। তাই এশিয়ান হাইওয়ে দিয়েই শুরু হবে এই আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা।
তবে নানা জটিলতার কারণে আপাতত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেই এই বাস চলাচলের অনুমোদন পাওয়া গেছে। বেসরকারি সংস্থা শ্যামলী পরিবহনের বাস ট্রানজ়িটের ভিত্তিতে পরিষেবা দেবে। ২৮ আসন বিশিষ্ট এই বাস সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এই বিলাসবহুল বাসে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছানো যাবে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে ভাড়া ঠিক হয়েছে ২০০০ টাকা। ভারতীয় টাকায় তা ১৫০০-র মধ্যে দাঁড়াবে। শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, "এই পথে বাস চলাচল নিয়ে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই পথে বাস চলাচলের অনুমোদন পেয়েছি। ফুলবাড়ি দিয়ে নিয়মিত বাস চলবে। তবে আপাতত আইনি জটিলতায় বাসগুলি সরাসরি সীমান্ত পেরোবে না। বাসগুলি যাত্রীদের সীমান্তে পৌঁছে দেবে। সেখানে দু'দেশের কাস্টমস ও অভিবাসন সংক্রান্ত ক্লিয়ারিংয়ের পর সীমান্তের অন্য প্রান্তে দাঁড়ানো বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছাবেন যাত্রীরা।