শিলিগুড়ি, 12 ডিসেম্বর: বাড়িতে অ্যাকোরিয়ামে পোষার জন্য বিরল প্রজাতির দু'টি কচ্ছপের বাচ্চা কিনেছিলেন শিলিগুড়ির সংহতি মোড়ের বাসিন্দা বাপি দত্ত। বেশ কয়েক দিন ধরে বাড়ির অ্যাকোরিয়ামে শখ করে রেখেছিলেন ওদের। ঘুনাক্ষরে কেউ জানতেই পারেননি। কিন্তু বিপাকে ফেলল স্ত্রী'র সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট। বাপি দত্তের স্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা নজরে চলে আসে বন দফতরের (Forest Department) ।
খোঁজখবর নিয়ে রবিবার রাতে অভিযান চালান বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা। দু'টি কচ্ছপের বাচ্চা-সহ একটি টিয়াপাখি উদ্ধার করে তাঁরা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বাপি দত্তকে। জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী মিতা দত্ত স্বামীর কচ্ছপ কেনার ছবি ও অ্যাকোরিয়ামের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় দত্তের নজরে বিষয়টি আসে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে জানা যায়, ওই কচ্ছপের বাচ্চা দু'টি আসলে দুষ্প্রাপ্য ইন্ডিয়ান টেন্ট টার্টল (Indian Tent Turtle) ।
যা কি না শিডিউল ওয়ান পার্ট টু প্রজাতির কচ্ছপ। এটি পোষা, বিক্রি করা বা শিকার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই আইন লঙ্ঘন করলে অন্তত জামিন অযোগ্য ধারায় সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বিষয়টি জানা মাত্রই অভিযান চালান বন কর্মীরা। বাড়িতে বন কর্মীরা অভিযানে গেলে প্রথমে বাড়িতে ওই ধরনের কোনও প্রাণী নেই বলে জানান বাপি । পরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালালে অ্যাকোরিয়ামে কচ্ছপের বাচ্চা দু'টি ও একটি টিয়াপাখি উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন : উদ্ধার 6টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ, গ্রেফতার 1
এরপরই বাপি দত্তকে গ্রেফতার করে বন বিভাগ। যদিও তিনি জানান, ওই কচ্ছপ পোষা যে নিষিদ্ধ সেটা তাঁর জানা ছিল না। ধৃতকে সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপির বিরুদ্ধে সেকশন 9/39 অপরাধমূলক আন্ডার সেকশন 51 নম্বর ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন ধারা 1972-এর অধীন মামলা রুজু করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা (Section 9,39 Punishable u/s 51 of Wild Life {Protection} Act, 1972) ৷