শিলিগুড়ি, 12 নভেম্বর: ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) বা কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় বানচাল হল সীমান্ত দিয়ে কোটি টাকার সোনা পাচারের ছক ৷ বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল অঙ্কের সোনার বিস্কুট আটক করেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দারা ৷ ঘটনায় হাওড়ার শ্যামপুরের মোশানাউল গ্রামের বাসিন্দা সইফুল রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইন্দো-মায়ানমারের মোরেহ সীমান্ত দিয়ে ওই সোনা মণিপুরে প্রবেশ করে। এরপর সেখান থেকে সড়ক পথে সেগুলি অসমের গুয়াহাটিতে পৌঁছায়। গুয়াহাটিতে ওই বিপুল অঙ্কের সোনা হাতবদল হয়ে সইফুলের কাছে পৌঁছয়। সেখান থেকে ওই সোনা নিয়ে গুয়াহাটি-হাওড়া স্পেশাল ট্রেন ধরে সইফুল। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছতেই অভিযান চালায় ডিআরআই। প্রথমে সইফুলকে আটক করে শুরু হয় তল্লাশি ৷ তল্লাশিতে তার ট্রাউজারে থাকা বিশেষ পকেটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় একে একে 13টি সোনার বিস্কুট। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি আট লক্ষ টাকা। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন 2 কেজি 158 গ্রাম । এক একটি সোনার বিস্কুটের ওজন 166 গ্রাম। এরপরই ধৃতকে গ্রেফতার করা হয় এবং শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয় তাকে। এদিন বিচারক ধৃতের জামিনের আবেদন খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : Suicide: হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ
প্রাথমিক তদন্তে ডিআরআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ওই সোনা কলকাতায় পাচারের ছক ছিল। সেখানে ওই সোনার বিস্কুটগুলি স্থানীয় কোনও সোনার ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷
মাঝে করোনার জেরে বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ ছিল দুরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমার ফলে ফের দুরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক পাচার চক্র, এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা।