কালিম্পং, 8 মার্চ: বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Sikkim to get Vande Bharat Express soon)। 2024 সালের মধ্যেই সিকিমে ছুটবে সেমি বুলেট ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস । শুধু তাই নয়।এক বছরের মধ্যে সিকিমের প্রত্যন্ত গ্রামেও মিলবে ফাইভ জি-র পরিষেবা । মঙ্গলবার কালিম্পং ও সিকিম সীমান্তের নব নির্মিত রংপো রেল স্টেশন পরিদর্শনে যান তিনি। সেভক রংপো রেল প্রকল্পের বরাত প্রাপ্ত সংস্থা ইরকনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তিনি রংপো রেলস্টেশন সংলগ্ন 5 নম্বর টানেলও পরিদর্শন করেন ।
ইন্দো-চিন সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগের সবরকম উন্নয়ন করতে মরিয়া কেন্দ্র সরকার । মূলত নাথুলা সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্র সরকারের । রেলের পাশাপাশি তথ্য সম্প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার । এদিন রংপো পরিদর্শনের পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ''2024 সালের মধ্যে সিকিমে বন্দে ভারত চলবে । আমরা এই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছি । পাশাপাশি সিকিমের পর্যটনেও ভালো জোয়ার আসবে । যোগাযোগের পাশাপাশি আমরা মোবাইল নেটওয়ার্কের উপর জোর দিচ্ছি । আগামী 12 মাসের মধ্যে কেন্দ্রের লক্ষ্য এখানে 5 জি পরিষেবা চালু করা ।"
পাশাপাশি মঙ্গলবার সেবক রংপো রেল প্রকল্পের ফলে আশেপাশে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যন্ত গ্রামবাসীদের জন্য ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । পাশাপাশি পর্যটনে কীভাবে উন্নতি করা যায় সেই বিষয়টিও দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । এই প্রসঙ্গেই অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, প্রধানমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য রেলপথের মাধ্যমে সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করা । দু' দফায় সেই কাজ চলছে । একটা পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি সিকিমে। মোট 14টি টানেল এবং 17টি সেতু হবে । সবগুলোর কাজ খুব ভালোভাবে চলছে । 6টা টানেলের কাজ শেষ হয়েছে । সেতুর কাজও ভালো চলছে । এরপরই তিনি ঘোষণা করেন, 2024 সালের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে । মূলত, ভারতের সবথেকে প্রত্যন্ত এলাকায় চলা দ্রুতগামী ট্রেন হল বন্দে ভারত । সিকিমের অন্তত 8 হাজার ফিট উচ্চতায় 8টি কামরা নিয়ে যাতায়াত করার ক্ষমতা আছে এই বন্দেভারত এক্সপ্রসের । বন্দে ভারতের এই ক্ষমতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার । এভাবে ইন্দো-চিন সীমান্তে সুরক্ষা দিকটিও মজবুত করতে পারবে ভারত ৷
আরও পড়ুন: এনজেপি-গুয়াহাটি রুটে 130 কিমি প্রতি ঘণ্টায় বন্দে ভারত চালানোর প্রস্তাব রেল বোর্ডকে
সিকিমে বন্দে ভারত চালু হলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে নাথুলা সীমান্তে পৌঁছনো যাবে। গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রেল প্রকল্পের জন্য প্রায় সাড়ে 5 হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার । 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ।