ETV Bharat / state

অমিল অ্যাম্বুলেন্স, বিপাকে রোগী ও তাঁদের পরিজনরা

author img

By

Published : Apr 9, 2020, 1:52 PM IST

লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাঠ ৷ চলছে না যানবাহন ৷ ঘরে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভরসা অ্যাম্বুলেন্স ৷ কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে কার্যত মাথার চুল ছিঁড়েও মিলছে না পরিষেবা।

Abulance crisis in Siliguri
অমিল অ্যাম্বুলেন্স, বিপাকে রোগী ও পরিজনেরা

শিলিগুড়ি, 9 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে রাস্তায় চলছে না যানবাহন। ঘরে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভরসা অ্যাম্বুলেন্স । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে কার্যত মাথার চুল ছিঁড়েও মিলছে না পরিষেবা। অজানা আত্ঙকে রোগী নিয়ে যেতে চাইছেন না অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা।

কোরোনা মোকাবিলায় সরকারি মাতৃযানগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে যাতায়াতের পাশাপাশি সন্দেহভাজন রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালকরা কাজ করতে না চাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে শুধু কোরোনা সংক্রমণ নয়, কোনোও রোগী জ্বরে আক্রান্ত হলেও আত্ঙকে তাঁদের কাছাকাছি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে চাইছেন না চালকরা। বাড়তি টাকার প্রলোভন বা প্রশাসনের চোখ রাঙানি কোনও কিছুই কাজে আসছে না। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় রোগীর আত্মীয়রা।


এনিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা মুখ খুলতে না চাইলেও, মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, "পরিস্থিতি এমন যে এই মুহুর্তে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স পাব কি না জানি না। কুসংস্কার ও অজানা আত্ঙকেরবশে অ্যাম্বুলেন্সে পরিষেবা অমিল। "

কোরোনায় মৃতের দেহ দাহ করতে নানা বাধা আসছে। মেয়র বলেন, "সত্যিই সমাজ এখনও অন্ধকারে আচ্ছন্ন। তাই কোথাও গোমূত্র পান করা হচ্ছে। কোথাও আবার কেউ কেউ নিজে একাই ক্ষমতাবান ভেবে সব নিজেই করতে চাইছেন। কিন্তু সমস্যা মিটছে না। এই পরিস্থিতিতে গণ সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে নিয়ে একত্রে কাজ করা দরকার।"

সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। তিনিও জানান, অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকেরা তা চালাতে চাইছেন না। বহু এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে রোগীর পরিজনেরা ফোন করছেন স্থানীয় নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে সরকারি মাতৃযানগুলি কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে রোগীদের আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে মাতৃযান ছাড়া কিছুই মিলছে না। বড় নার্সিংহোমগুলির নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স থাকায় সেগুলি চলছে। কিন্তু মাঝারি নার্সিংহোমে যাঁরা চিকিৎসা করান সেসব ক্ষেত্রে রোগীদের নিয়ে যেতে কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর পরিজনেরা জানাচ্ছেন, চালকরা আগে জানতে চাইছেন জ্বর আছে কি না। কোরোনা হয়েছে কি না। সব শুনে নিশ্চিত হয়ে বেশি টাকায় কিছু অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে তাও চালাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

শিলিগুড়ি, 9 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে রাস্তায় চলছে না যানবাহন। ঘরে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভরসা অ্যাম্বুলেন্স । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে কার্যত মাথার চুল ছিঁড়েও মিলছে না পরিষেবা। অজানা আত্ঙকে রোগী নিয়ে যেতে চাইছেন না অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা।

কোরোনা মোকাবিলায় সরকারি মাতৃযানগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে যাতায়াতের পাশাপাশি সন্দেহভাজন রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালকরা কাজ করতে না চাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে শুধু কোরোনা সংক্রমণ নয়, কোনোও রোগী জ্বরে আক্রান্ত হলেও আত্ঙকে তাঁদের কাছাকাছি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে চাইছেন না চালকরা। বাড়তি টাকার প্রলোভন বা প্রশাসনের চোখ রাঙানি কোনও কিছুই কাজে আসছে না। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় রোগীর আত্মীয়রা।


এনিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা মুখ খুলতে না চাইলেও, মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, "পরিস্থিতি এমন যে এই মুহুর্তে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স পাব কি না জানি না। কুসংস্কার ও অজানা আত্ঙকেরবশে অ্যাম্বুলেন্সে পরিষেবা অমিল। "

কোরোনায় মৃতের দেহ দাহ করতে নানা বাধা আসছে। মেয়র বলেন, "সত্যিই সমাজ এখনও অন্ধকারে আচ্ছন্ন। তাই কোথাও গোমূত্র পান করা হচ্ছে। কোথাও আবার কেউ কেউ নিজে একাই ক্ষমতাবান ভেবে সব নিজেই করতে চাইছেন। কিন্তু সমস্যা মিটছে না। এই পরিস্থিতিতে গণ সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে নিয়ে একত্রে কাজ করা দরকার।"

সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। তিনিও জানান, অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকেরা তা চালাতে চাইছেন না। বহু এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে রোগীর পরিজনেরা ফোন করছেন স্থানীয় নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে সরকারি মাতৃযানগুলি কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে রোগীদের আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে মাতৃযান ছাড়া কিছুই মিলছে না। বড় নার্সিংহোমগুলির নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স থাকায় সেগুলি চলছে। কিন্তু মাঝারি নার্সিংহোমে যাঁরা চিকিৎসা করান সেসব ক্ষেত্রে রোগীদের নিয়ে যেতে কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর পরিজনেরা জানাচ্ছেন, চালকরা আগে জানতে চাইছেন জ্বর আছে কি না। কোরোনা হয়েছে কি না। সব শুনে নিশ্চিত হয়ে বেশি টাকায় কিছু অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে তাও চালাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.