শিলিগুড়ি, 29 এপ্রিল: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকারী একজন ধর্মযোদ্ধা । শনিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে এভাবেই সম্বোধন করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী । এদিন সকালে উড়ানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি । সেখান থেকে সড়কপথে তিনি কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ পাশাপাশি মালদহে মৃত নাবালিকার বাড়িতেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর বলে জানা গিয়েছে ।
তবে এদিন বিমানবন্দরে জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধীর চৌধুরী । রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের দু'টি মামলা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত । আর তাঁকে সরানোর পর থেকে সরগরম রাজ্য রাজনীতি । বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । তবে এর মাঝেও শাসকদলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা লাগাতার তীব্র কটাক্ষ করে চলেছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে । যদিও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । তবে গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ওই মামলাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরব হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও ।
আজ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, "রাজ্যের শাসকদল চেয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনা হোক । কারণ তিনি যা রায় দিচ্ছিলেন তা রাজ্যের দুর্নীতি প্রকাশ করে দিচ্ছিল । তাই রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীরা বিচারপতিকে অভদ্রভাবে আক্রমণ করেছে । তাদের আক্রমণের মধ্যে দিয়ে প্রতিহিংসার মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে । কিন্তু অকুতোভয় একজন বিচারক কোন কিছুর পরোয়া না-করে নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষদের আইনি সহযোগিতা করে উদাহরণ তৈরি করলেন ৷ বাংলায় তা অভূতপূর্ব । আমি বলব, তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে একজন ধর্মযোদ্ধা ।"
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জ ও মালদহে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন তিনি । অধীরের অভিযোগ, রাজ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে । বাংলার মানুষ সেটা দেখতে পাচ্ছে । নাবালিকার উপর অত্যাচার তারপর হত্যা । আর হত্যার পরেও বাংলার পুলিশের যে আচরণ, তাতে মনে হচ্ছে আমরা কেউই সভ্য সমাজের মানুষ নই ।
আরও পড়ুন: 'সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিয়ো', রাতে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়