বালুরঘাট, 21 মার্চ : স্যানিটাইজা়র দিয়ে হাত ধুলে মিলবে হাসপাতলে প্রবেশ ও বেরনোর অনুমতি । কোরোনা মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কোরোনা মোকাবিলার জেরেই মূলত বালুরঘাট হাসপাতালে আসা রোগী ও পরিজনদের স্যানিটাইজা়র দিয়ে হাত ধুয়েই ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা । এছাড়াও হাসপাতালের কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের দেওয়া হয়েছে মাস্ক । সেই মাস্ক পরে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা । পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হবে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ।
প্রসঙ্গত, কোরোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। পৃথিবীর 137টি দেশে কোরোনা রাজত্ব চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন পর্যন্ত 5 জনের শরীরে কোরোনার ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। কোরোনা মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইন খোলা হয়েছে। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোরোনা আতঙ্কের জেরে এবার বালুরঘাট হাসপাতালে আসা প্রত্যেক রোগী ও রোগীর পরিজনদের স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ানোর পর তাদের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। মূলত কোরোনা মোকাবিলায় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মী থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের দেওয়া হয়েছে মাস্ক। সেই মাস পরেই স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগী দেখছেন এবং নিরাপত্তারক্ষীরা কাজ করছেন। বিগত কয়েকদিন থেকেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোরোনা মোকাবেলায় এই উদ্যোগ নিয়েছে। হাসপাতালে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রোগীর পরিজনরা। এমনকি রোগী ও রোগীর পরিজনরা হাসপাতাল থেকে বের হলেও তাদেরকে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজন রূপা সরকার জানান, ‘‘হাসপাতালের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। অজান্তেই করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিজনের দ্বারা অন্যান্য রোগীর পরিজনেরা করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। আমার মনে হয়, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিজনদের স্যানিটাইজার ব্যবহার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোগীর পরিজনদের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ’’
অন্য দিকে এবিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী মিলন সিং জানান, ‘‘বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোগী ও রোগীর পরিজনদের হাসপাতালে ঢোকার মুখেই যেন স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করানো হয়। যদি স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে করোনার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’