বংশীহারী , 8 এপ্রিল : সরকারি ত্রাণ তহবিল বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ তুললেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । বুধবার , তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র নাথের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে চাল ও ডাল নিয়ে শাসকদল রাজনীতি করছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷
কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষ , দুস্থ পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জেলার প্রতিটি রেশনের দোকান থেকে পাঁচ কিলো চাল এবং এক কিলো ডাল পরিবার পিছু দেওয়া হবে ৷ কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের প্রধান বা সদস্যরা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিভিন্ন রেশনের দোকান থেকে পরিচিতদের জিনিস সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ । এতে গরিব মানুষগুলি ঠিকমতো রেশন পাচ্ছে না ৷
গঙ্গারামপুর মহকুমার বেশিরভাগ জায়গায় এই রকম ঘটনা ঘটছে ৷ বুধবার গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র নাথের কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ জানান বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ।
তিনি বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হয়ে চলছে । ডিজিটাল কার্ডহীন মানুষদেরই কেবলমাত্র টোকেন বিলি করার কথা ৷ কিন্তু , দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি বা প্রধানরা সরকারি কর্মীদের সঙ্গে ঘুরছেন । আর নিজেদের পরিচিতদের বেআইনিভাবে টোকেন দিয়ে ত্রাণ বণ্টন করছেন ৷ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তৃণমূল কর্মীদের অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে BJP কর্মীদের অ্যাকাউন্টে 500 টাকা দিতে পারতেন । নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রত্যেক পরিবার পিছু পাঁচ কিলো চাল এবং এক কিলো করে ডাল দেওয়ার নির্দেশ কপি আমার কাছে আছে । ডিস্ট্রিক্ট ফুড ইন্সপেক্টরকে এই নির্দেশ কপি মেইল করা হয়েছে । রাজ্য সরকার ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য পাঁচ কিলো চাল এবং এক কিলো ডাল এলাকার গরিব পরিবারগুলি পাচ্ছে না । এইভাবে দিনের পর দিন যদি গরিব পরিবারগুলিকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে আগামীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ৷ "