ভাঙড়, 10 জুলাই: ভাঙড়ে দলের কর্মীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে ৷ এমনটাই অভিযোগ করল আইএসএফ ৷ তাদের দাবি, রাতের অন্ধকারে ব্যালট বক্সে কারচুপি করতে পারে শাসকদল তৃণমূল । এই আশংকায় ভাঙড় দু'নম্বর ব্লকের ডিসিআরসি সেন্টারের অদূরেই আস্তানা গেড়েছিল আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা । কয়েকশো আইএসএফ কর্মী সমর্থক রাতে পাহারার কাজ করছিলেন সেখানে । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখানে গিয়ে অল্প বিস্তর লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় আইএসএফ কর্মীদের বলে অভিযোগ । আর এই নিয়েই ক্ষোভো ফুঁসছে তাঁরা ।
আইএসএফের দাবি, পুলিশ এসে কোনও কারণ ছাড়াও তাদের উপর লাঠিচার্জ করে ৷ তাঁদের বেশ কয়েকটি বাইক 144 ধারার জারি করা এলাকার বাইরে ছিল ৷ সেগুলিকেও পুলিশ থানায় তুলে নিয়ে যায় ৷ পুলিশের লাঠিচার্জ করায় আতঙ্কে পালিয়ে যান আইএসএফ কর্মীরা । তাঁরা পালিয়ে যাওয়াতেই তাঁদের বাইকগুলি পুলিশ আটক করেছে । প্রায় 25টি বাইক আটক করে কাশীপুর থানায় রেখেছে পুলিশ কর্মীরা ।
পুলিশের দাবি, এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য জড়ো হচ্ছিলেন ওই আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ । এরপর গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় চলে পুলিশি টহলদারি । পুলিশের আরও দাবি, তাদের আধিকারিকদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে আইএসএফ কর্মীরা । তবে পুলিশের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আইএসএফ নেতা অহিদুল ইসলাম ৷ তাঁর দাবি, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল ব্যালট বক্সে কারচুপি করতে পারে । কারণ যেকটি বুথে ভোট হয়েছে সেখানে আইএসএফের তরফে ব্যাপক সংখ্যায় ভোট পড়েছে । তাই আইএসএফকে ভোটের মাধ্যমে হারাতে না পারায় কারচুপি করে হারানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল ।
আরও পড়ুন: হরিনাম শুনতে গিয়ে ভুলে গিয়েছেন বাড়ির কথা, 24 ঘণ্টা পর ঘরে ফিরলেন ভোটকর্মী
যদিও শাসকদলের নামে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব । তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলাম বলেন, "ভোটে কারচুপির কোনও মানসিকতা আমাদের নেই ৷ আমরা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ভোট পেয়েছি ৷ জনগণ উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়েছে ৷ লুটপাট করার আমাদের কোনও ইচ্ছে নেই ৷ চোর না হলে চোর চিন্তে পারে না ৷ ওরা নিশ্চই এরকম চুরি করত ৷ তার জন্য এই আশংকা করছে ৷ শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে ৷ গণনাও শান্তিপূর্ণ হবে ৷ জনগণের রায়ের মাধ্যমে আমরা ভোটে জিতব ৷"