সাগর, 2 মার্চ: জেলায় একদিকে পড়ুয়ার অভাবে বন্ধের মুখে বেশি কয়েকটি স্কুল ৷ অপরদিকে অন্য ছবি সাগরে ৷ এখানে পড়ুয়া আছে, শিক্ষক নেই ৷ স্কুলের প্রার্থনার ঘণ্টা দেওয়া থেকে শুরু করে পড়াশুনা, মিড ডে মিল সমস্ত কিছুই সামলাতে হচ্ছে একজন শিক্ষককে ৷ অথচ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় 50 । আর তাতেই নাজেহাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক (one teacher runs school with 50 students) । ঠিক তেমনই পঠন-পাঠনের মানও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে । ঘটনাটি গঙ্গাসাগরের রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত স্বর্ণময়ী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷
জানা গিয়েছে, স্কুল শুরুর প্রথমে শিক্ষক ছিল তিনজন ৷ তার মধ্যে একজন ট্রান্সফার নিয়ে চলে যায় নিজের এলাকায় ৷ অন্যদিকে কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি থেকে স্থগিতাদেশ পায় সঞ্জীব কর নামে অপর এক শিক্ষক ৷ আর তাতেই এখন স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়েছে প্রধান শিক্ষক প্রদীপকুমার মণ্ডলের ঘাড়ে । স্কুলের দরকারে অথবা শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধান শিক্ষক না আসলেই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যালয় । আর যাতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা । শিশু শ্রেণি থেকে শুরু করে চতুর্থ পর্যন্ত একাকেই ক্লাস সামলাতে হয় প্রধান শিক্ষককে ৷
পাশাপাশি স্কুলের প্রার্থনার থেকে টিফিনের ঘণ্টা এমনকী ছাত্রছাত্রীরা ঠিকঠাক মত মিড-ডে মিল পাচ্ছে কি না, এই সমস্ত কিছুই সামলাতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককেই । বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র জানান, এই বিষয়ে স্কুলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ যত শীঘ্রই সম্ভব শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ । তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ৷ তাদের মতে তৃণমূল সরকারের শাসনব্যবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ৷ কেবল গঙ্গাসাগরের স্বর্ণময়ী অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলেরই ছবিটা যে এইরকম তা নয়, একটু ভালো করে নজর দিলেই জেলার অনেক স্কুলই কখনও শিক্ষকের অভাবে ৷ আবার কখনও বা শিক্ষা পরিকাঠামোর অভাবে এমনভাবেই শেষ হতে চলেছে বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি ।
আরও পড়ুন: ভেষজ আবির তৈরিতে মত্ত পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা