নরেন্দ্রপুর, 27 অগাস্ট : রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার নরেন্দ্রপুরের নামী বহুতল আবাসনে । ফ্ল্যাটে দাদার পচাগলা দেহ আগলে থাকতে দেখা গেল বোনকে ৷ বাইরে থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আজ সকালে সোনারপুর থানার পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা । পুলিশ দরজায় ধাক্কা দিতে দরজা খোলেন বোন মিনতি দে ৷ দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে রয়েছে অঞ্জন কুমার দে (70) নামে ওই বৃদ্ধের দেহ ৷ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
বছর দশেক ধরে নরেন্দ্রপুরের B ব্লকের 4N ফ্ল্যাটে থাকতেন দু'জনে৷ দাদা অঞ্জন কুমার দে পেশায় আইনজীবী ছিলেন ৷ স্থানীয়দের তরফে জানা যায়, কারোর সঙ্গেই খুব একটা কথা বলতেন না দু'জনেই ৷ নিজেদের মতোই থাকতেন ৷ মাঝে মাঝে বাইরে কোথাও যাওয়ার জন্য একজন ড্রাইভার ছিলেন ৷ 19 অগাস্ট ওই ড্রাইভারকে ডাকেন তাঁরা ৷ কিন্তু ড্রাইভার বাড়ি আসলে সেদিন দরজা খোলেননি কেউ ৷ গত তিন চারদিন তাঁদের বাড়ির বাইরে বের হতে দেখেনি কেউ ৷ আজ সকাল থেকেই আবাসনের ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল ৷ সন্দেহ হয় স্থানীয়দের ৷ সোনারপুর থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খোলেন মিনতি দে ৷ দেখা যায়, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বৃদ্ধের দেহ ৷ সঙ্গে সঙ্গে তা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন বৃদ্ধকে ৷
ওই বৃদ্ধ কি খুন হয়েছেন? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ ওই ড্রাইভারকেও জিজ্ঞাসাসবাদ চলছে ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷