কাকদ্বীপ, 11 জুন: সাতসকালে বাড়ির থেকে উদ্ধার হল ছাত্রীর দেহ ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার রাজনগর সেন গ্রামে গুড়িয়া পাড়া এলাকায় ৷ ওই ছাত্রীর নাম সুনীতা মাইতি (18) ৷ তিনি লক্ষ্মীকান্তপুর বিএড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীতা কাকদ্বীপে মামার বাড়িতেই থাকত ৷ তাঁর মা কলকাতায় নার্সের কাজ করেন ৷ ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় দিদার সঙ্গেই থাকত সুনীতা ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা নিয়ে দিদার সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় সুনীতার ৷ এরপর রাতে খাওয়াদাওয়া না-করে নিজের ঘরে শুতে চলে যায় সে ৷
তারপর রবিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও সুনীতার ঘর থেকে সাড়া মেলেনি ৷ পরিবারের সদস্যরা তখন দরজা ভেঙে সুনীতা ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান ৷ সদস্যরা তড়িঘড়ি সুনীতাকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে ৷ এই মর্মান্তিক ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাকদ্বীপ থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনি, অভিমানে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
কাকদ্বীপ থানার পুলিশ সুনীতার ঘর থেকে তার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ৷ মৃত্যুর সময় সুনীতার বিছানায় তাঁর মোবাইলটি সেলফি মোডে উদ্ধার করা হয় ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ ৷ পাশাপাশি সুনীতা মোবাইল থেকে শেষ বার কার সঙ্গে কথা বলেছে, তাও তদন্ত করে দেখছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ ৷ সুনীতার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ জানা যাবে ৷ এর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ ৷ সুনীতার মাসি শিখা দাস জানান, মেয়ে প্রেম করছিল বা কারও সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল ৷ এর আগেও সুনীতা একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ৷ সেবার পরিবারের লোকজন জানতে পারায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয় ৷
তবে শনিবার দুপুর থেকেই সুমিতার মন ভালো ছিল না ৷ অন্যদিনের মতো বাড়িতে অন্যদের সঙ্গে বা দিদার সঙ্গেও কথা বলেনি সে ৷ দুপুরবেলা সে ভাতও খায়নি ৷ রাতে ভাত খাওয়া নিয়েও দিদার সঙ্গে সামান্য বচসা হয় ৷ তারপর এই দুর্ঘটনা ৷
আরও পড়ুন: দিনের পর দিন শ্লীলতাহানি, অবসাদে 'আত্মঘাতী' ছাত্রী