গোসাবা, 7 জুন : ঘূর্ণিঝড় যশ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত দক্ষিণ 24 পরগনার গোসাবা ৷ কোটালের জেরে এলাকার একাধিক নদীতে জলস্ফীতি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ গোসাবার একাধিক অস্থায়ী নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছে নোনা জল ৷ যার জেরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে চাষের জমি। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যশের পর প্রায় দু’সপ্তাহ কাটতে চললেও এখনও গোসাবার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে রয়েছে নোনা জলে ৷ এরই মধ্যে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে পানীয় জলের সঙ্কট ৷ কয়েক হাজার পরিবার তাঁদের মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছে ৷
সোমবার গোসাবার যশে ক্ষতিগ্রস্ত এইসব এলাকা পরিদর্শনে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ৷ প্রথমে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা যান পাথরপ্রতিমায় ৷ তারপর সেখান থেকে আসেন গোসাবায় ৷ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের হেলিকপ্টার গোসাবার কিষাণ মান্ডি ভবনের মাঠে এসে নামে ৷
সাত সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল প্রথমে গোসাবা কিষাণ মান্ডি ভবনে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করে ৷ সেখানে যশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হয় ৷ এরপর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সড়ক পথে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা রাঙাবেলিয়া, জটিরামপুর জেটিঘাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় যান ৷
আরও পড়ুন : পাথরপ্রতিমার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
এরপর বিদ্যাধরী নদীতে স্পিড বোট চড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল জলপথে যশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যায় ৷ প্রসঙ্গত, যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে দু’দিনের সফরে রাজ্য়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ৷ এদিন ছিল সেই সফরের শেষ দিন ৷