ETV Bharat / state

মাকে খুনের বিবরণ দিল প্রতিবন্ধী মেয়ে, দোষীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তেজনা ভাঙড়ে

বধূহত্যার প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ের নাংলা গ্রামে ৷ শনিবার সকালে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ অভিযোগ, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বছর তিরিশের ওই গৃহবধূকে ৷ তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়ে মাকে খুনের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে ৷ খুনের পর স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে ছিল দোষীরা ৷ স্থানীয়রা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন ৷

ভাঙড়ে বধূ খুন
ভাঙড়ে বধূ খুন
author img

By

Published : Jul 10, 2021, 10:45 PM IST

ভাঙড়, 10 জুলাই : বেধড়ক মারধর, পায়ে দড়ি বেঁধে ইলেকট্রিক শক, বালিশ চাপা দেওয়ার পাশাপাশি গলা টিপে শ্বাসরোধ করার পরও আবার মুখের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ৷ মাকে খুন হতে দেখে প্রতিবন্ধী মেয়ে ৷ পরে সে-ই ইশারায় জানায় লোকজনকে ৷ নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে নাংলা গ্রামে ৷ শনিবার সকালে স্থানীয় উদ্ধার হয়েছে লিলুফা বিবির মৃতদেহ ৷ তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷ দোষীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভাঙচুরও চালানো হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ৷ শেষে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে দোষীদের বের করে স্থানীয়রাই পুলিশের হাতে তুলে দেন ৷ তাদের ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা ৷

বছর দশেক আগে এখন বছর তিরিশের লিলুফার বিয়ে হয় ভাঙড়ের কচুয়া গ্রামের মহিদ্দিন মোল্লার সঙ্গে ৷ তাঁদের দুই সন্তানও হয় ৷ এক মেয়ে এবং এক ছেলে ৷ মেয়েটি প্রতিবন্ধী ৷ এদিন এই মেয়েই লোকজনকে মায়ের খুনের কথা জানায় ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই লিলুফার উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ লিলুফার মাসি আসমা বিবি জানান, এর আগেও তাঁদের মেয়েকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ তখন থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় ৷ কিন্তু পুলিশ সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷

এদিন সকালে লিলুফার মৃত্যুর কথা জানাজানি হয় ৷ লিলুফার বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে তাঁদের মেয়ে । মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই আগেভাগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল লিলুফার স্বামী-সহ অন্যরা । তারা লিলুফার ছেলেকে নিয়ে যায় ৷ কিন্তু প্রতিবন্ধী মেয়েটাকে বাড়িতেই ফেলে পালায় ৷ বাচ্চা মেয়েই ইশারায় জানায় তার মাকে কীভাবে খুন করা হয়েছে ৷ এদিকে জানা যায়, পলাতকরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা পিন্টু মোল্লার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, এই তৃণমূল নেতা দোষীদের সাহায্য করছেন ৷ তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিতরা ৷ অল্প-বিস্তর ভাঙচুরও চলে ৷ সেখান থেকে অবশেষে দোষীদের বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এদিনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা ৷

বধূ খুনে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে শনিবার ভাঙড়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা ৷

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ । উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । নিহত গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ি, স্বামীর ভাই এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন : কর্মসূত্রে নেপাল গিয়ে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, 22 দিন পর বাড়ি ফিরল কফিনবন্দি দেহ

ভাঙড়, 10 জুলাই : বেধড়ক মারধর, পায়ে দড়ি বেঁধে ইলেকট্রিক শক, বালিশ চাপা দেওয়ার পাশাপাশি গলা টিপে শ্বাসরোধ করার পরও আবার মুখের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ৷ মাকে খুন হতে দেখে প্রতিবন্ধী মেয়ে ৷ পরে সে-ই ইশারায় জানায় লোকজনকে ৷ নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে নাংলা গ্রামে ৷ শনিবার সকালে স্থানীয় উদ্ধার হয়েছে লিলুফা বিবির মৃতদেহ ৷ তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷ দোষীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভাঙচুরও চালানো হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ৷ শেষে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে দোষীদের বের করে স্থানীয়রাই পুলিশের হাতে তুলে দেন ৷ তাদের ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা ৷

বছর দশেক আগে এখন বছর তিরিশের লিলুফার বিয়ে হয় ভাঙড়ের কচুয়া গ্রামের মহিদ্দিন মোল্লার সঙ্গে ৷ তাঁদের দুই সন্তানও হয় ৷ এক মেয়ে এবং এক ছেলে ৷ মেয়েটি প্রতিবন্ধী ৷ এদিন এই মেয়েই লোকজনকে মায়ের খুনের কথা জানায় ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই লিলুফার উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ লিলুফার মাসি আসমা বিবি জানান, এর আগেও তাঁদের মেয়েকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ তখন থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় ৷ কিন্তু পুলিশ সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷

এদিন সকালে লিলুফার মৃত্যুর কথা জানাজানি হয় ৷ লিলুফার বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে তাঁদের মেয়ে । মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই আগেভাগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল লিলুফার স্বামী-সহ অন্যরা । তারা লিলুফার ছেলেকে নিয়ে যায় ৷ কিন্তু প্রতিবন্ধী মেয়েটাকে বাড়িতেই ফেলে পালায় ৷ বাচ্চা মেয়েই ইশারায় জানায় তার মাকে কীভাবে খুন করা হয়েছে ৷ এদিকে জানা যায়, পলাতকরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা পিন্টু মোল্লার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, এই তৃণমূল নেতা দোষীদের সাহায্য করছেন ৷ তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিতরা ৷ অল্প-বিস্তর ভাঙচুরও চলে ৷ সেখান থেকে অবশেষে দোষীদের বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এদিনের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা ৷

বধূ খুনে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে শনিবার ভাঙড়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা ৷

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ । উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । নিহত গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ি, স্বামীর ভাই এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন : কর্মসূত্রে নেপাল গিয়ে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, 22 দিন পর বাড়ি ফিরল কফিনবন্দি দেহ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.