ETV Bharat / state

"প্রশাসন খাবারের ব্যবস্থা না করলে আমরা হয়ত না খেয়ে মরে যাব" - শীতলকুচ্

শীতলকুচিতে আটকে পড়েছেন চার পরিবারের শিশুসহ 20 সদস্য । খেতে না পেয়ে এক প্রকার অনাহারে কাটছে দিন ৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 16, 2020, 3:47 PM IST


কোচবিহার, 16 এপ্রিল : কেউ ভিক্ষা করেন, কেউবা গ্রামের মানুষের কাছে মাদুলি , ভেষজ গাছের ছাল ও পাতা বিক্রি করেন । কেউ কেউ আবার হাটে-বাজারে ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি ওষুধ বিক্রি করেন ৷ এরকম পেশায় একপ্রকার যাযাবর জীবন যাপন করে দিন কাটায় পরিবারগুলি ৷ এরকমই চারটি পরিবারের মোট 20 জন সদস্য লকডাউনের জেরে কোচবিহারের শীতলকুচি লালবাজার গ্রামে আটকে পড়েছেন ৷ রুজি-রোজগার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ৷

ওই চার পরিবারের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের ডাউকিমারি গ্রামে ৷ পেশার তাগিদে তারা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে তাঁবু বানিয়ে দিন যাপন করে । কিন্তু , তাদের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে লকডাউন ৷ কোরানা আতঙ্কের থেকেও তাদের বড় আতঙ্ক না খেয়ে মরার!

পরিবারগুলি সূত্রে জানা গেছে , স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েও সাহায্য মেলেনি ৷ তাদের পাশে কেউ এগিয়ে আসছে না । হাতে নেই পর্যাপ্ত অর্থও । বাড়ি কী করে ফিরবে তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছে ৷

চারটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ধন্দল সিং বলেন, " মানুষের বাড়ি যেতে পারছি না , হাটবাজার বন্ধ , আয়ের উৎস নেই। খাবার যতটুকু মজুত ছিল সব শেষ ৷ হাতে টাকা-পয়সা নেই ৷ স্থানীয় প্রশাসন যদি খাবারের ব্যবস্থা না করে আমরা হয়ত না খেয়ে মরে যাব ৷ প্রশাসন দ্রুত খাবারের ব্যবস্থা করুক ।"

যদিও লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা খাতুন (বিবি ) বলেন, "এখনও ওই পরিবারগুলি সাহায্যের জন্য আসেনি। এলে সাহায্য করা হবে ।"

শীতলকুচি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়া জানান, পরিবারগুলিকে সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে ।


কোচবিহার, 16 এপ্রিল : কেউ ভিক্ষা করেন, কেউবা গ্রামের মানুষের কাছে মাদুলি , ভেষজ গাছের ছাল ও পাতা বিক্রি করেন । কেউ কেউ আবার হাটে-বাজারে ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি ওষুধ বিক্রি করেন ৷ এরকম পেশায় একপ্রকার যাযাবর জীবন যাপন করে দিন কাটায় পরিবারগুলি ৷ এরকমই চারটি পরিবারের মোট 20 জন সদস্য লকডাউনের জেরে কোচবিহারের শীতলকুচি লালবাজার গ্রামে আটকে পড়েছেন ৷ রুজি-রোজগার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ৷

ওই চার পরিবারের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের ডাউকিমারি গ্রামে ৷ পেশার তাগিদে তারা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে তাঁবু বানিয়ে দিন যাপন করে । কিন্তু , তাদের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে লকডাউন ৷ কোরানা আতঙ্কের থেকেও তাদের বড় আতঙ্ক না খেয়ে মরার!

পরিবারগুলি সূত্রে জানা গেছে , স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েও সাহায্য মেলেনি ৷ তাদের পাশে কেউ এগিয়ে আসছে না । হাতে নেই পর্যাপ্ত অর্থও । বাড়ি কী করে ফিরবে তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছে ৷

চারটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ধন্দল সিং বলেন, " মানুষের বাড়ি যেতে পারছি না , হাটবাজার বন্ধ , আয়ের উৎস নেই। খাবার যতটুকু মজুত ছিল সব শেষ ৷ হাতে টাকা-পয়সা নেই ৷ স্থানীয় প্রশাসন যদি খাবারের ব্যবস্থা না করে আমরা হয়ত না খেয়ে মরে যাব ৷ প্রশাসন দ্রুত খাবারের ব্যবস্থা করুক ।"

যদিও লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লিপিকা খাতুন (বিবি ) বলেন, "এখনও ওই পরিবারগুলি সাহায্যের জন্য আসেনি। এলে সাহায্য করা হবে ।"

শীতলকুচি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ওয়াংদি গ্যালপো ভুটিয়া জানান, পরিবারগুলিকে সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.