ETV Bharat / state

নিজের বাড়িতে ঠাঁই নেই, সুবিচারের আশায় বৃদ্ধা

সম্পত্তির লোভে মা'কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ছেলে ৷ বৃদ্ধার ঠাঁই হয়েছে অন্যের বাড়িতে ৷ সুবিচারের আশায় দিন গুনছেন তিনি ৷ এখনও ছেলে-বউয়ের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চান তিনি ৷

সুশীলা রায়
author img

By

Published : Nov 1, 2019, 8:23 AM IST

মেখলিগঞ্জ, 1 নভেম্বর : স্বামীর মৃত্যুর পর তিন বিঘা জমিই সম্বল ৷ বয়স সত্তর ৷ শেষ বয়সে ছেলেমেয়ের থেকে ভালোবাসা, আদর-যত্নই চান তিনি ৷ তবে সে সৌভাগ্য কোথায় ? সম্পত্তি না লিখে দেওয়ায় ঠাঁই হয়নি নিজের বাড়িতে ৷ প্রায় চার বছর ধরে কখনও মেয়ের বাড়ি, কখনও ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েই দিন কাটছে তাঁর ৷

তিনি সুশীলা রায় ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ৷ মৃত্যুর পর তিন বিঘা জমি রেখে গেছেন স্বামী উমেশ রায় ৷ সেই জমির লোভে সুশীলাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত ছেলে কমল রায় ও ছেলের বউ ঝর্না রায় ৷ প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ৷

অভিযোগ, প্রায় চার বছর ধরে সম্পত্তির লোভে কমল ও ঝর্না সুশীলাকে খেতে দিতেন না ৷ দিনের পর দিন বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন ৷ ছেলে, বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি ৷ কয়েকদিন আগে নিজের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেন সুশীলা ৷ তবে, বাড়িতে ঠাঁই হয়নি তাঁর ৷ মারধর করে তাড়িয়ে দেন কমল ৷

দেখুন ভিডিয়ো

শেষ পর্যন্ত, পুলিশের দ্বারস্থ হন সুশীলা ৷ গতকাল কমল ও ঝর্নার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেখলিগঞ্জ থানায় ৷ সুশীলা বলেন, "কোনও মা চায় না সন্তানের ক্ষতি হোক ৷ কিন্তু ছেলে যদি না বোঝে তাহলে কী করব ? বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ জানিয়েছি ৷"

তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঝর্না রায় ৷ তিনি বলেন, "সব ঠিকই আছে ৷ ছেলে-মা'তে ঝগড়া হত ৷ কোনও মারধর করা হয়নি ৷ সম্পত্তি না পেয়েই কেন তাড়িয়ে দেব ? শাশুড়ি মা মারা গেলে সব তো আমরাই পাব ৷ মারধর, প্রাণে মারার অভিযোগ মিথ্যে ৷"

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

মেখলিগঞ্জ, 1 নভেম্বর : স্বামীর মৃত্যুর পর তিন বিঘা জমিই সম্বল ৷ বয়স সত্তর ৷ শেষ বয়সে ছেলেমেয়ের থেকে ভালোবাসা, আদর-যত্নই চান তিনি ৷ তবে সে সৌভাগ্য কোথায় ? সম্পত্তি না লিখে দেওয়ায় ঠাঁই হয়নি নিজের বাড়িতে ৷ প্রায় চার বছর ধরে কখনও মেয়ের বাড়ি, কখনও ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েই দিন কাটছে তাঁর ৷

তিনি সুশীলা রায় ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ৷ মৃত্যুর পর তিন বিঘা জমি রেখে গেছেন স্বামী উমেশ রায় ৷ সেই জমির লোভে সুশীলাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত ছেলে কমল রায় ও ছেলের বউ ঝর্না রায় ৷ প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ৷

অভিযোগ, প্রায় চার বছর ধরে সম্পত্তির লোভে কমল ও ঝর্না সুশীলাকে খেতে দিতেন না ৷ দিনের পর দিন বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন ৷ ছেলে, বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি ৷ কয়েকদিন আগে নিজের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেন সুশীলা ৷ তবে, বাড়িতে ঠাঁই হয়নি তাঁর ৷ মারধর করে তাড়িয়ে দেন কমল ৷

দেখুন ভিডিয়ো

শেষ পর্যন্ত, পুলিশের দ্বারস্থ হন সুশীলা ৷ গতকাল কমল ও ঝর্নার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেখলিগঞ্জ থানায় ৷ সুশীলা বলেন, "কোনও মা চায় না সন্তানের ক্ষতি হোক ৷ কিন্তু ছেলে যদি না বোঝে তাহলে কী করব ? বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ জানিয়েছি ৷"

তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঝর্না রায় ৷ তিনি বলেন, "সব ঠিকই আছে ৷ ছেলে-মা'তে ঝগড়া হত ৷ কোনও মারধর করা হয়নি ৷ সম্পত্তি না পেয়েই কেন তাড়িয়ে দেব ? শাশুড়ি মা মারা গেলে সব তো আমরাই পাব ৷ মারধর, প্রাণে মারার অভিযোগ মিথ্যে ৷"

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

Intro:বৃদ্ধা মায়ের তিনবিঘা জমির লোভে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার ,প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে ৷

কোচবিহার:৩১ অক্টোবর :

বয়স সত্তরের বৃদ্ধা ,মৃত্যুর পর সামন্য তিন বিঘা জমি স্বামী রেখে গেছেন ৷ সেই জমির লোভে বৃদ্ধা মায়ের ওপর শারীরিক এবং মানষিক অত্যাচার করত ছেলে এবং ছেলের স্ত্রী ৷ এমনকি বৃদ্ধা মাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন অভিযুক্ত পূত্র এবং পূত্র বধু ৷শেষ মেষ প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বৃদ্ধাকে তার পুত্র এবং পুত্র বধু ৷ সুবিচারের আসায় এমনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়৷

ঘটনাটি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি গ্রামের ৷ বৃদ্ধার নাম সুশিলা রায় (৭০),স্বামীর নাম উমেশ রায় (মৃত )৷ অভিযুক্ত পুত্র এবং পুত্র বধুর নাম কমল রায় ও ঝর্ণা রায় ৷

সূত্রে খবর ,প্রায় চার বছর ধরে ওই বৃদ্ধার সামান্য সম্পত্তির লোভে তার ছেলে এবং বৌমা খেতে দিত না ,দিনের পর দিন বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার করত ৷ ছেলে এবং বৌমার অত্যাচারে বৃদ্ধ বয়সে অন্যের বাড়িতে বাড়িতে আশ্রয় নিত ,প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের বাড়িতে কোন ক্রমে খাবার খেত ৷ কখন আত্মীয় ,কখনো প্রতিবেশীদের কাছে নিত খাবার এবং আশ্রয়ের ৷এভাবে কয়েক বছর নিজ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে ফের এক সপ্তাহ আগে পুত্রের কাছে নিজবাড়িতে আশ্রয়ের জন্য গেলে আবার মারধোর করে তাড়িয়ে দেন ছেলে এবং ছেলের বৌ ৷ শেষ পর্যন্ত আইনের দারস্থ হন ৷গত সাতদিন আগে নিজ বাড়ি গেলে সেখানে তার ওপর মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ যদিও ,গ্রাম্য সালিশী সভায় কোন সুবিচার পায়নি ওই বৃদ্ধা ৷ আজ বাধ্য হয়েই ছেলে এবং ছেলের বৌ এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেখলিগঞ্জ থানায় ৷


বৃদ্ধা সুশীলা রায় জানান "কোন মা চায়না সন্তানের ক্ষতি হৌক ,কিন্তূ ছেলে যদি না বোঝে তাহলে কি করবো !৷বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ জানাই ৷


অভিযুক্ত ছেলের স্ত্রী ঝর্ণা রয়ের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য ৷ ঝর্ণা রায় জানান "সব ত ঠিকই আছে , ছেলে- মা একটূ রাগারাগি হত , কোন মারধোর করা হয়নি ৷ সম্পত্তি না পেতে কেন তাড়িয়ে দেবো ,তাছাড়া ,শাশুড়ি মা মারা গেলে আমরাই ত সেগুলো পাবো ৷ মারধোর এবং প্রাণে মারার অভিযোগ মিথ্যে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ৷Body:COB Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.